শিম ও মটরশুঁটির মধ্যে পার্থক্য

শিম:
শিম অতি পরিচিত একটি জনপ্রিয় শীতকালীন সবজি। অবশ্য বর্তমানে প্রায় সারা বছরই শিম পাওয়া যায়। শিম সকলেরই প্রিয় সবজি। শীতকালে দানাদার শিমের স্বাদই আলাদা। শিম দিয়ে ভাজি, ভর্তা, তরকারী সবই রান্না করা যায়। শিমের অনেক জাত রয়েছে। শিম শুধু স্বাদেই নয় এর মধ্যে আল্লাহ তায়লা অনেক উপকার রেখেছেন। শীত কালেই শিম সহ অনেক সবজি সবচেয়ে বেশী পাওয়া যায়। গবেষনায় জানা যায়, শিমের পুষ্টিগুন শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই শুধু বাড়িয়ে দেয় না, শরীরে বাসা বাধা রোগও নিরাময় করে।

মটরশুঁটি:
মটরশুঁটি হলো লেগিউম জাতীয় উদ্ভিদ Pisum sativum এর গোলাকার বীজ। প্রতিটি মটরশুঁটির মধ্যে বেশ কয়েকটি বীজ থাকে। যদিও এটি এক প্রকারের ফল, এটি মূলত সবজি হিসাবে রান্নায় ব্যবহৃত হয়। শুকনো মটরশুটি ছিলে ভেঙে দ্বিখণ্ডিত করে মটর ডাল তৈরি করা হয় । সাধারণত, মটরশুটি গ্রীষ্মের এক ধরণের ফসল, যার বৃদ্ধির জন্য উষ্ণ তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। রোপণ থেকে, ফসল কাটাতে 55-60 দিন সময় লাগে। শিমের পোড পরিপক্ক হওয়ার সাথে সাথে হলুদ বর্ণ ধারণ করে তবে এর ভিতরে থাকা বীজগুলি তাদের রঙ সবুজ থেকে পরিপক্ক রঙে পরিবর্তিত করে।

শিম ও মটরশুঁটির মধ্যে পার্থক্য:

শিম অতি পরিচিত একটি জনপ্রিয় শীতকালীন সবজি। অবশ্য বর্তমানে প্রায় সারা বছরই শিম পাওয়া যায়। শিম ও মটরশুঁটির মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

১। প্রতি ১০০ গ্রাম শিমে ৮০ গ্রাম ক্যালরি থাকে। অন্যদিকে মটরশুঁটিতে ৮১ গ্রাম ক্যালরি থাকে।

২। প্রতি ১০০ গ্রাম শিমে ১০.৫ গ্রাম শর্করা থাকে। অন্যদিকে মটরশুঁটিতে থাকে ১৪.৫ গ্রাম।

৩। প্রতি ১০০ গ্রাম শিমে থাকে ০.৫ গ্রাম স্নেহ পদার্থ। অন্যদিকে মটরশুঁটিতে থাকে ০.৪ গ্রাম স্নেহ পদার্থ।

৪। প্রতি ১০০ গ্রাম শিমে প্রোটিন থাকে ৯.৬ গ্রাম। অন্যদিকে মটরশুঁটিতে প্রোটিন থাকে ৫.৪ গ্রাম।