ভাঙ্গার ও খাদারের মধ্যে পার্থক্য

ভাঙ্গার (Bhangar):

নদী থেকে কিছু দূরে উচ্চ অংশে পুরােনাে জমিতে যে মাটি দেখা যায়, তাকে ভাঙ্গার বলে। উত্তর ভারতের বৃহত্তর অংশে পাওয়া যায় জলাশয় মাটিকে ভঙ্গর বলা হয়। এটি একটি পুরনো মাটি যা প্রকৃতিতে পলল এবং অঞ্চলের নদীগুলির বন্যা স্তর উপরে। এটি প্রায়ই একটি ছাদ গঠনের মধ্যে দেখা যায়। ভঙ্গর অনেক চুনযুক্ত আমানত রয়েছে এবং এর মধ্যে অনেকগুলি কঙ্কর রয়েছে।

খাদার (Khadar):

নদীর উভয় তীরের নতুন প্লাবনভূমিতে অর্থাৎ নদীর । কাছাকাছি অঞলে যে নতুন পলি দেখা যায়, তাকে খাদার বলে। সমভূমিতে, ছোটখাট আমানত খাদর নামে পরিচিত। এই কেবল ছোট না হয়; তারা ভঙ্গার মৃত্তিকার চেয়েও বেশি উর্বর। এই মৃত্তিকা নিবিড় চাষের জন্য খুব ভাল। ইহা বন্যার পানির নিচে অবস্থিত এবং বন্যা জলের কারণে এই মাটি বন্যার পানির সাথে নতুন জমিতে নতুন জমিতে পরিণত হয় যা মাটি খুব উর্বর করে তোলে।

ভাঙ্গার ও খাদারের মধ্যে পার্থক্যঃ

ভাঙ্গার ও খাদার উভয় মাঁটি হলেও তাদের মধ্যে বৈশিষ্ট্যগত অনেক পার্থক্য রয়েছে। নিচে ভাঙ্গার ও খাদারের মধ্যে পার্থক্য নিচে আলোচনা করা হয়েছে-

১। নদীর উভয় তীরের নতুন প্লাবনভূমিতে অর্থাৎ নদীর । কাছাকাছি অঞলে যে নতুন পলি দেখা যায়, তাকে খাদার বলে। অন্যদিকে, নদী থেকে কিছু দূরে উচ্চ অংশে পুরােনাে জমিতে যে মাটি দেখা যায়, তাকে ভাঙ্গার বলে।

২। উচ্চ গঙ্গা সমভূমির প্রাচীন পলিগঠিত অঞ্চল ভাঙ্গার নামে পরিচিত। অন্যদিকে, উচ্চ গঙ্গা সমভূমির নবীন পলি দিয়ে গঠিত ভূমিভাগ খাদার নামে পরিচিত।

৩। ভাঙ্গার ভূমি নদী থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত। অন্যদিকে, খাদার ধরনের ভূমি নদীর কাছাকাছি অবস্থিত।

৪। ভাঙ্গার প্রাচীন পলিগঠিত বলে এই মাটির উর্বরতা কম। অন্যদিকে, নবীন পলিগঠিত বলে এই মাটির উর্বরতা বেশি।

৫। ভাঙ্গার অঞ্চল উঁচু বলে এখানে প্রতি বছর প্লাবন হয় না। অন্যদিকে, খাদার অঞ্চল নীচু বলে প্রায় প্রতিবছরই প্লাবিত হয়।

৬। প্রাচীন পলিগঠিত ভাঙ্গরের মাটি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। অন্যদিকে, খাদার অঞ্চলে প্রতিবছর নতুন মাটি সঞ্চিত হয়।