দ্বিবীজপত্রী ও একবীজপত্রী ভ্রূণের মধ্যে পার্থক্য

একবীজপত্রী ভ্রূণ(Monocot Embryo):

একবীজপত্রী উদ্ভিদের ভ্রূণের একিটি মাত্র বীজপত্র থাকে। ঘাস জাতীয় উদ্ভিদের এই বীজপত্রকে স্কুটেলাম বলে। এটি embryonal axis প্রান্তদেশে অবস্থান করে। তার শেষ ভ্রূণমূল থাকে যা coleorhiza দ্বারা পরিবৃত থাকে। Embryonal axis এর উপরের দিকের অংশ কে এপিকোটাইল বলে এবং বীজপত্র আদিকান্ড অগ্রভাগে বিটপ এর অগ্র থাকে যা coleoptile দিয়ে ঢাকা থাকে।

দ্বিবীজপত্রী ভ্রূণ(Dicot Embryo):

আদর্শ দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের ভ্রূণের দুটি প্র্রধান অংশ হলো একটি embryonal axis বা ভ্রূণাক্ষ এবং দুটি cotyledons বা বীজপত্র। embryonal
axis এর উপরের অংশ হলো epicotyl এবং নিচের অংশ হলো hypocotyl বা বীজপত্র কান্ড। বীজপত্র কান্ডের ঠিক উপরের ভ্রূণমুকুল যা থেকে বিপট গঠিত হয়। নিচের অংশটি হলো ভ্রূণমূল যা থেকে মূলত্র দিয়ে ঢাকা থাকে।

দ্বিবীজপত্রী ও একবীজপত্রী ভ্রূণের মধ্যে পার্থক্য:

বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যে দ্বিবীজপত্রী ও একবীজপত্রী ভ্রূণের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কিছু পার্থক্য নিচে তুলে ধরা হলোঃ-

১। দ্বিবীজপত্র ভ্রূণে বীজপত্র থাকে। অন্যদিকে একবীজপ্ত্রী ভ্রূণে একটি মাত্র বীজপত্র থাকে।

২। দ্বিবীজপত্রী ভ্রূণে দুটি বীজপত্রের অবস্থান হচ্ছে পার্শ্বমুখী। অন্যদিকে একবীজপত্রী ভ্রূণে একটি বীজপত্রের অবস্থান হচ্ছে শীর্ষস্থানে।

৩। দ্বিবীজপত্রী ভ্রূণের কান্ড শীর্ষে অবস্থান করে। অন্যদিকে একবীজপত্রী ভ্রূণের কান্ড পার্শ্বে অবস্থান করে।

৪। দ্বিবীজপত্রী ভ্রূণকান্ড কোলেওস্টাইল (আবরণী) দ্বারা আবৃত থাকে না। অন্যদিকে একবীজপত্রী ভ্রূণকান্ড কোলেওস্টাইল দ্বারা আবৃত থাকে।

৫। দ্বিবীজপত্রী ভ্রূণমূল কলিওরাইজা দ্বারা আবৃত থাকে না। অন্যদিকে একবীজপত্রী ভ্রূণমূল কলিওরাইজা নামক অতিরক্ত অঙ্গ দিয়ে ঘেরা থাকে।

৬। দ্বিবীজপত্রী ভ্রূণে হাইপোফাইসিস গঠিত হয়। অন্যদিকে একবীজপত্রী ভ্রূণেও হাইপোফাইসিস গঠিত হয়।