বিষমপৃষ্ঠ পাতা ও সমদ্বিপৃষ্ঠ পাতার মধ্যে পার্থক্য

বিষমপৃষ্ঠ পাতা (Dorsiventral Leaf):

যেসব গাছের পাতা চ্যাপ্টা, সবুজ এবং মাটির সঙ্গে সমান্তরালভাবে অবস্থান করে, তাকে বিষমপৃষ্ঠ পাতা বলে। মেসোফিল কলা অসমসত্ত্ব প্রকৃতির অর্থাৎ এতটি প্যালিসেড ও স্পঞ্জি প্যারেনকাইমা কোষ দ্বারা গঠিত।প্যালিসেড কোষগুলি ঊর্ধ্বত্বকের সঙ্গে সমকোন বিন্যস্ত থাকে। উদাহরণ- জবা, আম, বট প্রভৃতি।

সমদ্বিপৃষ্ঠ পাতা (Isobilateral Leaf):

প্রায় সব একবীজপত্রী উদ্ভিদের পাতা সমদ্বিপৃষ্ঠ। এখানে ভূট্টা পাতার অন্তর্গঠন বর্ণনা করা হলো−ভূট্টা পাতার একটি পাতলা প্রস্থচ্ছেদ অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে পর্যবেক্ষণ করলে নিম্নোক্ত অংশসমূহ দেখা যায়- একসারি ঘন সন্নিবিষ্ট প্যারেনকাইমা কোষ দ্বারা এ স্তর গঠিত। ত্বকের বাইরের দিকে কিউটিকলের আবরণ থাকে। উর্দ্ধত্বকের মাঝে মাঝে পত্ররন্ধ্র থাকে।

১। অভ্যন্তরীণ অংশকে রক্ষা করে।

২। বাষ্পমোচন ও গ্যাস আদান প্রদানে অংশগ্রহণ করে।

৩। পত্ররন্ধ্রের রক্ষীকোষ খাদ্য প্রস্তত করে।

বিষমপৃষ্ঠ পাতা ও সমদ্বিপৃষ্ঠ পাতার মধ্যে পার্থক্যঃ

যেসব গাছের পাতা চ্যাপ্টা, সবুজ এবং মাটির সঙ্গে সমান্তরালভাবে অবস্থান করে, তাকে বিষমপৃষ্ঠ পাতা বলে। বিষমপৃষ্ঠ পাতা ও সমদ্বিপৃষ্ঠ পাতার মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-