লসাগু ও গসাগু এর মধ্যে পার্থক্য

ল.সা.গু (LCM):

দুই বা ততোধিক পূর্ণসংখ্যার লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণিতক বা লসাগু বলতে বুঝায় সেই ক্ষুদ্রতর সংখ্যা যা ওই সংখ্যাগুলোর প্রত্যেকটি দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য। ইংরেজি ভাষায় লসাগু কে least common multiple, lowest common multiple অথবা সংক্ষপে LCM বলা হয়। যেমন- যেমন ১২, ২৪, ৩৬ ইত্যাদি।এইসব সংখ্যা গুলিকে ৪ ও ৬ এর সাধারন গুনিতক বলা হয় ( ৪X৩ = ১২, ৪X৬ = ২৪, ৪X৯ = ৩৬,এবং ৬X২ = ১২, ৬X৪ = ২৪, ৬X৬ = ৩৬) । এরকম সাধারন গুণিতক এর সংখ্যা অসংখ্য। এই সাধারন গুণিতক গুলির মধ্যে ১২ হল সবচেয়ে ছোট, তাই ১২ কে বলা হয় ৪ ও ৬ এর লঘিষ্ঠ সাধারণ গুনিতক বা ল.সা.গু।

গসাগু (HCF):

দুই বা ততোধিক সংখ্যার সাধারণ গুণনীয়কগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়টিকে তাদের গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক বা সংক্ষেপে গসাগু বলে। যেমন ১৮ গুনণীয়ক হল ১, ২, ৩, ৬, ৯, ও ১৮ এবং ৩০ এর গুননিয়্ক হলো ১, ২, ৩, ৪, ৬, ১০, ১৫ ও ৩০ । এই গুনণীয়ক গুলির মধ্যে সাধারণ গুণনীয়ক গুলি হলো ১, ২, ৩,ও ৬ । আর এই সাধারণ গুণনীয়ক গুলির মধ্য সবচেয়ে বড় সংখ্যাটি হলো ৬। সুতরাং ১৮ ও ৩০ এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বা গরিষ্ঠ সাধারন গুনণীয়ক হল ৬।

লসাগু ও গসাগু এর মধ্যে পার্থক্যঃ

১। দুই বা ততোধিক সংখ্যার সাধারণ গুণিতকগুলির মধ্যে যে গুণিতকটি ক্ষুদ্রতম, তাকে প্রদত্ত সংখ্যাগুলির ল.সা.গু. বা লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণিতক বলে। অন্যদিকে কয়েকটি সংখ্যার সাধারণ গুণনীয়ক বা উৎপাদকগুলির মধ্যে যেটি গরিষ্ট(বড়ো), তাকে প্রদত্ত সংখ্যাগুলির গ.সা.গু. বা গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক বলে।

২। ল.সা.গু শব্দের পূর্ণরুপ হল লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণিতক। অন্যদিকে সংখ্যার সাধারণ গুণনীয়কগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়টিকে তাদের গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক।

৩। লসাগু নির্ণয়ের দুটি পদ্ধতি যথা-
(ক) প্রত্যেক রাশি যৌগিক উৎপাদক বিশ্লেষণ এর দ্বারা ।
(খ) সাধারণ উৎপাদক বিশ্লেষণ এর দ্বারা । অন্যদিকে গ.সা.গু. নির্ণয় এর দুটি পদ্ধতি আছে। যথা-
(ক) যৌগিক উৎপাদক বিশ্লেষণ এর দ্বারা এবং
(খ) ভাগ পদ্ধতির সাহায্যে।


পার্থক্য
ম্যাথম্যাটিস সংক্রান্ত আরো পার্থক্য পড়ুনঃ Mathematics
আরোও পার্থক্য পড়ুনঃ কুমির ও কচ্ছপের মধ্যে পার্থক্য, সংঘ ও সম্প্রদায়ের মধ্যে পার্থক্য, এলইডি (LED) এবং এলসিডি (LCD) এর মধ্যে পার্থক্য