পুরুষ ও নারী মস্তিষ্কের মধ্যে পার্থক্য

শারীরিকভাবে নারী ও পুরুষের পার্থক্য বিস্তর। তবে মস্তিষ্কে কতটা পার্থক্য এই দুই লিঙ্গের? আকৃতিগত দিক দিয়ে পুরুষদের মস্তিষ্ক নারীদের চেয়ে আকারে বড়। তবে এর মানে কি মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাতেও এগিয়ে পুরুষরা? আকৃতিগত অমিল থাকলেও কর্মক্ষমতার দিক দিয়ে মিল রয়েছে নারী ও পুরুষের মস্তিষ্কে। জার্মানির হেল্মহলৎস গবেষণা কেন্দ্রের নিউরোসায়েন্টিস্ট সুজানে ভাইস এমনইটাই জানিয়েছেন। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে পুরুষ ও নারীর মস্তিষ্কে ততটা পার্থক্য নেই৷

বরং অনেকের ধারণার চেয়েও দুই লিঙ্গের মস্তিষ্কে অনেক মিল আছে৷ তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, বিপরীত লিঙ্গের মস্তিষ্কে মিল থাকলেও অমিল রয়েছে সমলিঙ্গের মস্তিষ্কে। এছাড়া নারীরা ভাষা শিক্ষায় ভালো হলেও ছেলেদের দক্ষতা বিজ্ঞানে।

পুরুষ ও নারী মস্তিষ্কের মধ্যে পার্থক্যঃ

অনেকের ধারণার চেয়েও দুই লিঙ্গের মস্তিষ্কে অনেক মিল আছে৷ তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, বিপরীত লিঙ্গের মস্তিষ্কে মিল থাকলেও অমিল রয়েছে। পুরুষ ও নারী মস্তিষ্কের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

১। মানবদেহের কানের ওপরে মস্তিষ্কের মধ্যে আখরোটের মতো একটি ছোট একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আছে। একে বলে অ্যামিগডালা। মজার ব্যাপার হল, ছেলেদের এই অংশটি মেয়েদের চেয়ে অনেকটা বড়।

২। পুরুষদের মস্তিষ্ক নারীদের চেয়ে আকারে বড়৷

৩। ভাষা শিক্ষা, গোনার ক্ষমতা, লেখাপড়া শেখার ক্ষেত্রে বাম গোলার্ধের বেশি ভূমিকা থাকে। অন্যদিকে, চারুকলা, সঙ্গীত, কল্পনা প্রবণতা এইগুলি ডান গোলার্ধের কাজ। দেখা গিয়েছে পুরুষদের মস্তিষ্কে স্নায়ুকোষের সংখ্যা নারীদের চেয়ে সাতগুণ বেশি।

৪। এইজন্য পুরুষরা যে কোন সিদ্ধান্ত দ্রুত নিতে পারেন। তবে নারীদের আবার স্নায়ুসংযোগকারী নার্ভ পুরুষদের তুলনায় দশ গুণ বেশি। তাই তাদের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা এবং বাকশক্তি অনেক বেশি থাকে। এই জন্যে যুক্তি-তর্কে নারীদের হারানো শক্ত।

৫। সিংগুলেট জাইরাস অংশ বড় হওয়ার কারণে নারীরা খুব দ্রুত এবং সঠিকভাবে স্মৃতি রোমন্থন করতে পারেন। অন্যদিকে, যা সাধারণত পুরুষরা পারেন না।

৬। পুরুষরা কাজকর্ম করার ক্ষেত্রে ডান অথবা বাম যে কোনও একটি মস্তিষ্কের উপরই নির্ভরশীল থাকেন। অন্যদিকে, নারীরা ব্রেনের দুটি অংশেরই সমানভাবে ব্যবহার করে। এই কারণে পুরুষদের তুলনায় মেয়েরা কাজকর্ম গুছিয়ে করতে পারেন।

৭। স্ত্রী হরমোন যেমন ইস্ট্রোজেনের প্রভাবে নারীরা অনেক বেশি আবেগপ্রবণ হন পুরুষদের তুলনায়। এই জন্যে নরীদের মধ্যে অবসাদে ভোগার প্রবণতা বেশি থাকে। অন্যদিকে পুরুষদের মধ্যে অটিজম, সিজোফ্রেনিয়ার মতো রোগ বেশি দেখা যায়। আবার ক্রনিক বা দীর্ঘদিনের ব্যথা যা অনেকটা মস্তিষ্কে উপর প্রভাব ফেলে যেটা মেয়েদের বেশি হয়।