অঙ্গগত ও গুণগত বিভাগের মধ্যে পার্থক্য

অঙ্গগত বিভাগ (Morphological division):

যে বিভাগে বিশেষ ব্যক্তি বা বস্তুকে তার বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করা হয়, তাকে অঙ্গগত বিভাগ বলে। অর্থাৎ কোনো জাতিকে তার অন্তর্গত বিভিন্ন উপজাতিতে বিভাজন না করে বরং একটি বস্তু বা ব্যক্তিকে তার বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করলে তখন অঙ্গগত বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে। এখানে আম গাছের কাণ্ড, পাতা ও কাঁটার ভিত্তিতে আম গাছকে ভাগ করে। আম গাছ একটি বিশেষ ফলের গাছের নাম। আম গাছকে যেভাবে বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করা হয়েছে সেটি অঙ্গগত বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। একইভাবে যদি কোনো মানুষকে তার হাত, পা, চেহারা ইত্যাদি অঙ্গে ভাগ করা হয় তখন তা হবে অঙ্গগত বিভাগ।

গুণগত বিভাগ (Qualitative division):

যে বিভাগে কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুকে তার বিভিন্ন গুণাবলিতে বিভক্ত করা হয় তাকে গুণগত বিভাগ বলে। এখানে প্রথমত আম সম্পর্কে বলা হয়েছে, এর স্বাদ, টক, মিষ্টি ও রসালো। এখানে একই আমের গুণ হিসেবে এর বিভিন্ন স্বাদের উল্লেখ এসেছে। যেহেতু আমকে গুণের ভিত্তিতে ভাগ করা হয়েছে তাই এগুলো গুণগত বিভাগ। একইভাবে এক খণ্ড কাচকে তার ঘনত্ব, স্বচ্ছতা, কাঠিন্য ইত্যাদি গুণে বিভক্ত করলে তা হবে গুণগত বিভাগ। এ ধরনের বিভাজনের জন্য কোনো নিয়মের প্রয়োজন হয় না এবং কোনো নিয়ম এতে প্রয়োগও করা যায় না।

অঙ্গগত ও গুণগত বিভাগের মধ্যে পার্থক্যঃ

বিভাগ বিভাজনে যে দুটি বিষয় এসেছে সেগুলো হল গুণগত বিভাগ ও অঙ্গগত বিভাগ অনুপপত্তি। অঙ্গগত ও গুণগত বিভাগের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করা হল-

যে বিভাগে কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুকে তার বিভিন্ন গুণাবলিতে বিভক্ত করা হয় তাকে গুণগত বিভাগ বলে। এখানে রীনা প্রথমত আনারস সম্পর্কে বলেছে, এর স্বাদ, টক, মিষ্টি ও রসালো। এখানে একই আনারসের গুণ হিসেবে এর বিভিন্ন স্বাদের উল্লেখ এসেছে। যেহেতু আনারসকে গুণের ভিত্তিতে ভাগ করা হয়েছে তাই এগুলো গুণগত বিভাগ। একইভাবে এক খণ্ড কাচকে তার ঘনত্ব, স্বচ্ছতা, কাঠিন্য ইত্যাদি গুণে বিভক্ত করলে তা হবে গুণগত বিভাগ। এ ধরনের বিভাজনের জন্য কোনো নিয়মের প্রয়োজন হয় না এবং কোনো নিয়ম এতে প্রয়োগও করা যায় না।

আবার যে বিভাগে বিশেষ ব্যক্তি বা বস্তুকে তার বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করা হয়, তাকে অঙ্গগত বিভাগ বলে। অর্থাৎ কোনো জাতিকে তার অন্তর্গত বিভিন্ন উপজাতিতে বিভাজন না করে বরং একটি বস্তু বা ব্যক্তিকে তার বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করলে তখন অঙ্গগত বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে। এখানে রীনা আনারস গাছের কাণ্ড, পাতা ও কাঁটার ভিত্তিতে আনারস গাছকে ভাগ করে। আনারস গাছ একটি বিশেষ ফলের গাছের নাম। আনারস গাছকে যেভাবে বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করা হয়েছে সেটি অঙ্গগত বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। একইভাবে যদি কোনো মানুষকে তার হাত, পা, চেহারা ইত্যাদি অঙ্গে ভাগ করা হয় তখন তা হবে অঙ্গগত বিভাগ।

যৌক্তিক বিভাগের প্রথম নিয়ম অনুযায়ী বিভাজ্য পদটিকে শ্রেণিবাচক পদ হতে হবে। আবার পঞ্চম নিয়মে বলা হয়েছে, বিভাজ্য শ্রেণির নাম বিভক্ত উপশ্রেণির প্রতিটির সঙ্গে যুক্ত হবে। রীনা প্রথমবার আনারসের যে গুণের উল্লেখ করেছে সে ভিত্তিতে যদি আনারসকে ভাগ করা হয় তাহলে প্রকৃতপক্ষে কোনো শ্রেণিবাচক পদের বিভাজন হবে না। কারণ, আনারস গাছ কোনো শ্রেণিবাচক পদ নয় আর এর বিভিন্ন কাণ্ড, পাতা প্রভৃতির প্রকৃতপক্ষে কোনো বিভাজনই হয় না। তাই এটি প্রথম নিয়ম লঙ্ঘনজনিত অনুপপত্তি। আবার, সেখানে বিভক্ত অংশগুলোতেও আনারসের উল্লেখ নেই। তাই এতে পঞ্চম নিয়মেরও লঙ্ঘন হয়েছে।