অফলাইন ও অনলাইন ডেটা ব্যাকআপ-এর মধ্যে পার্থক্য

অফলাইন ডেটা ব্যাকআপ (BACKUP TO OFFLINE):

ডেটা ব্যাকআপ করার সবথেকে সহজ মেথড হল কোনো এক্সটারনাল ড্রাইভে ডেটা স্টোর করা। বাজারে অনেক ধরণের অনেক সাইজের ইউ এস বি (USB) হার্ড ড্রাইভ আপনি পেয়ে যাবেন। কোনো হার্ড ড্রাইভে ডেটা ব্যাকআপ করা সবথেকে পপুলার মেথড। খুব সহজেই এই হার্ড ড্রাইভ ইউজ করা যায়, তেমনই এটা ক্যারী করাও অনেক সুবিধাজনক। খুব একটা যে বেশী খরচ তেমনটাও নয়। শুধুমাত্র আপনার উইন্ডোজের বিল্ট-ইন সিস্টেমের সাহায্যে এক্সটারনাল ড্রাইভে ডেটা ব্যাকআপ করতে পারবেন।

উইন্ডোজ ১০ কিংবা ৮ হলে ফাইল হিস্ট্রির (FILE HISTORY) সাহায্যে আপনার কাজটির সমাধান হয়ে যাবে। আপনি সেই হার্ড ড্রাইভ মাঝে মাঝে ইনপুট করেও ইউজ করতে পারেন অথবা সবসময়ই প্ল্যাগ ইন রেখে অটোমেটিকভাবে ডেটা ব্যাকআপ করতে পারেন। এক্সটারনাল হার্ড ড্রাইভে ডেটা ব্যাকআপ করা সবচেয়ে সস্তা। আরো একটা ইতিবাচক দিক হল এই যে খুব তাড়াতাড়ি ডেটা ব্যাকআপ করা যায়। এইধরণের মেথডের প্রধান অসুবিধা হল এই যে এক্সটারনাল হার্ড ড্রাইভও চুরি যেতে পারে, কিংবা কোনো কারণে ড্যামেজ হতে পারে।

অনলাইন ডেটা ব্যাকআপ (BACKUP TO ONLINE):

অনলাইন ব্যাকআপ সার্ভিস সবথেকে নির্ভরযোগ্য ডেটা ব্যাকআপ পদ্ধতি । আপনার লোকাল ডেটা ব্যাকআপ সিস্টেম চালু থাকলেও কোনো অফসাইট ব্যাকআপ সার্ভিস আরও বেশী স্বস্তিদায়ক। অনলাইন ব্যাকআপ সার্ভিস আপনার ডিভাইসের হার্ড ড্রাইভ প্রথমে স্ক্যান করে তারপর সিকিউরিটি এনক্রিপ্ট করে সার্ভারে পাঠিয়ে দেয় প্রোটেক্ট করার জন্য। একবার ফাইল আপলোড হয়ে গেলে আপনি যেকোনো জায়গা থেকে আপনার ব্যাকআপ ফাইল অ্যাকসেস করতে পারবেন এবং সময়মতো ডেটা উদ্ধারও করতে পারবেন।

এই ব্যাকআপের সুবিধা হল এই সার্ভিস আপনাকে যেকোনো প্রকার ডেটা লসের হাত থেকে বাঁচায়, সেটা হতে পারে হার্ড ড্রাইভ ড্যামেজ, চুরি যাওয়া বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়। একবার এই সার্ভিস চালু হলে প্রতিনিয়ত আপনার কম্পিউটার সফটওয়ারের মাধ্যমে স্ক্যান হতে থাকে। এছাড়া ভাইরাসের হাত থেকেও আপনাকে সুরক্ষিত রাখে। তবে এই সার্ভিস অনেকটা খরচ সাপেক্ষ এবং শুরুতে বেশ খানিকটা সময় নেয় ব্যাকআপ চালু করতে যদি আপনার ফাইলের সংখ্যা বেশী হয়।

অফলাইন ও অনলাইন ডেটা ব্যাকআপ-এর মধ্যে পার্থক্যঃ

ডেটা ব্যাকআপ করার সবথেকে সহজ মেথড হল কোনো এক্সটারনাল ড্রাইভে ডেটা স্টোর করা। অফলাইন ও অনলাইন ডেটা ব্যাকআপ-এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

১। ডেটা ব্যাকআপ করার সবথেকে অফলাইন সহজ মেথড হল কোনো এক্সটারনাল ড্রাইভে ডেটা স্টোর করা। অন্যদিকে, অনলাইন ব্যাকআপ সার্ভিস সবথেকে নির্ভরযোগ্য ডেটা ব্যাকআপ পদ্ধতি ।

২। অফলাইনে সংরক্ষিত ডাটা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে এবং ডেটা রিকভারি করা বেশ জটিল। অন্যদিকে, অনলাইন ডেটা সংরক্ষিত ডেটা অধিক নিরাপদ এবং রিকভারি করা তুলনামূলক সহজ।

৩। অফলাইনে সংরক্ষিত ডেটায় অ্যাক্সেস নেয়াটা ব্যবহারকারীর জন্যে বরাবরই ঝামেলাপূর্ণ একটি কাজ। অন্যদিকে, ক্লাউডে থাকা বা অনলাইনে থাকা ডেটার এক্সেস নেওয়া অত্যন্ত সহজ।

৪। অফলাইনে থাকা ডেটায় অ্যাক্সেস নেয়ার প্রয়োজন হয়, তখন আপনাকে হয় অফিসে অথবা যে ডিভাইসে ডেটা রেখেছেন, তার সামনে থাকতে হয়। অন্যদিকে, ক্লাউডে থাকা বা অনলাইনে থাকা ডেটার এক্সেস যেকোনো স্থান থেকে নেওয়া যায়।

৫। একবার যেকোনো ক্লাউড সার্ভিসে সাবস্ক্রিপশন নিলে পরবর্তীতে যেকোনো সময় প্রতিষ্ঠানের পলিসির সাথে মিল রেখে প্রয়োজনমতো স্টোরেজ স্পেস বাড়াতে বা কমাতে পারবেন। অন্যদিকে, অফলাইন ডেটা ব্যাকআপের ক্ষেত্রে এতটা ফ্লেক্সিবিলিটি আপনি কখনোই পাওয়া সম্ভব নয়।

৬। অনলাইন ব্যাকআপের ক্ষেত্ত্রে যে ডিভাইসে ডেটা সংরক্ষণ করা হয়েছে সেটি হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলেও সম্পূর্ণ ডেটা সংরক্ষিত থাকে যা পরবর্তীতে নতুন ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়। অন্যদিকে, অফলাইন ব্যাকআপ এর ক্ষেত্রে এটি সম্ভব নয়।