Site icon Parthokko.com.bd | পার্থক্য | Difference Between

পাবলিক এবং প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির মধ্যে পার্থক্য

পাবলিক এবং প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির

পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি (Public Limited Company):

কোনো কোম্পানির মালিকানা বা এর শেয়ার মালিকানার কমপক্ষে ৫১% শেয়ার যদি সরকারি মালিকানায় থাকে এবং এর পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সরকারের হাতে থাকে, তবে তাকে সরকারি মালিকানায় পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি বলে

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি (Private Limited Company)

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে ন্যূনতম শেয়ারহোল্ডার থাকতে হয় দুই জন। আর সর্বোচ্চ শেয়ারহোল্ডার হতে পারে ৫০ জন। এর বেশি শেয়ারহোল্ডার নিতে হলে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত করতে হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোম্পানির সদস্য সংখ্যা ও অবকাঠামোর উপর ভিত্তি করে কোন কোম্পানিকে লিমিটেড কোম্পানি বলা হয়। যে সীমাবদ্ধ দায় কোম্পানিতে সদস্যের সংখ্যা ন্যূনতম ২ বা সর্বোচ্চ ৫০ জন রাখা হয় এবং সীমাবদ্ধ দায়ের ভিত্তিতে কোম্পানিকে প্রদত্ত আইনের আওতায় নিবন্ধিত করা হয়, তাকে ঘরোয়া মালিকানায় সীমাবদ্ধ কোম্পানি বা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি (Private Limited Company) বলে।

পাবলিক এবং প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির মধ্যে পার্থক্যঃ

পাবলিক এবং প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির মধ্যে পার্থক্য কিছু বিষয়ের উপরে নির্ভর করে থাকে। নিচে পাবলিক এবং প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

১। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে ন্যূনতম শেয়ারহোল্ডার থাকতে হয় ২ জন। আর সর্বোচ্চ শেয়ারহোল্ডার হতে পারে ৫০ জন। এর বেশি শেয়ারহোল্ডার নিতে হলে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত করতে হয়।

অন্যদিকে, পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে ন্যুনতম ৭ জন শেয়ারহোল্ডার থাকতে হয়। কিন্তু শেয়ারহোল্ডারের সর্বোচ্চ কোনো সংখ্যা থাকে না। অর্থাৎ যথাযথ প্রক্রয়া অনুসরণ করে, ক্ষেত্র বিশেষে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন নিয়ে যে কোনো সংখ্যক শেয়ার ইস্যু করা যায়।

২। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানীতে নূন্যতম পরিচালক সংখ্যা ২ জন। অন্যদিকে, পাবলিক লিমিটেডে কোম্পানীতে নূন্যতম পরিচালক সংখ্যা ৩ জন।

৩। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানীতে সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন থাকলেই কোম্পানী তার কার্যক্রম শুরু করতে পারে। অন্যদিকে, পাবলিক লিমিটেডে কোম্পানীতে সার্টিফিকেট অব কমেন্সমেন্ট অব বিজনেজ প্রাপ্তির পরে কোম্পানী তার কার্যক্রম শুরু করতে পারে।

৪। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানীতে শেয়ার হস্তান্তর ও ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ থাকে। অন্যদিকে, পাবলিক লিমিটেডে কোম্পানীতে শেয়ার সহজেই হস্তান্তর করা যায়।

৫। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি জনসাধারণের কাছে শেয়ার এবং ডিবেঞ্চার ও বন্ডসহ কোনো ধরণের ঋণপত্র বিকি্র করতে পারে না। অন্যদিকে, পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জনসাধারণের কাছে শেয়ার ও বন্ড বিক্রি করতে পারে।

Exit mobile version