মূলদ ও অমূলদ সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য

মূলদ সংখ্যা (Rational Number)ঃ

মূলদ সংখ্যা(Rational Number) হচ্ছে সেই সকল বাস্তব সংখ্যা যাদের P/q আকারে প্রকাশ করা যায়। যেখানে p এবং q উভয় পূর্ণ সংখ্যা,p ও q সহমৌলিক সংখ্যা এবং q ≠ 0 । যকেোন র্পূণ সংখ্যা একটি মূলদ সংখ্যা। মূলদ সংখ্যা হচ্ছে সইে সংখ্যা যে সংখ্যাকে দুইটি র্পূণ সংখ্যার অনুপাত হসিবেে প্রকাশ করা যায়। মূলদ সংখ্যাকে দশমকি আকারওে প্রকাশ করা যায় এবং তা হয় সসীম ঘর দশমকি (যমেন: ১.২৯, ৫.৬৯৮৭, ৮.৯৭৯৮৭) অথবা পৌনঃপুনকি (recurrent) দশমকি (যমেন: ১.৬৩৬৩৬৩৬৩৬৩, ৪.৬৯৬৯৬৯৬৯৬৯, .১০১১০১১০১১০১)। সব র্পূণসংখ্যাই মূলদ সংখ্যা (কারণ n যদি একটি র্পূণসংখ্যা হয়, তবে n = n/1 কে দুইটি র্পূণসংখ্যার অনুপাত হসিবেে প্রকাশ করা যাচ্ছ) র্অথাৎ, -2,-1,0,1,0… ইত্যাদি সবই মূলদ সংখ্যা।

অমূলদ সংখ্যা (Irrational Number)ঃ

অমূলদ সংখ্যা হল সেসব বাস্তব সংখ্যা যেগুলোকে দুটি পূর্ণ সংখ্যার অনুপাতে প্রকাশ করা যায় না। অমূলদ সংখ্যাকে দশমিক-এ প্রকাশ করার চেষ্টা করলে দশমিকের পর যত ঘর অবধি-ই দেখা হবে, কোন পৌনঃপুনিকতা (recurrence) দেখা যাবে না। অমূলদ সংখ্যার মধ্যে বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাত π, ইউলারের সংখ্যা e, গোল্ডেন অনুপাত φ এবং দুটি এর বর্গমূল √2 আসলে বর্গসংখ্যা বাদে সকল অখণ্ডসংখ্যার সমস্ত বর্গমূল, অমূলদ।

মূলদ ও অমূলদ সংখ্যার মধ্যে পার্থক্যঃ

১। যে সংখাকে ভগ্নাংশ রুপে প্রকাশ করা যায় তাকে মুলদ সংখ্যা আর যে সংখ্যাকে ভগ্নাংশ রুপে প্রকাশ করা যায় না তাকে অমুলদ সংখ্যা বলে

২। মূলদ সংখ্যাকে p/q আকারে সাজানো যায়। অন্যদিকে অমূলদ সংখ্যাকে এভাবে সাজানো যায় না।

৩। যে সমস্ত সংখ্যাকে ভগ্নাংশ আকারে লেখা যাই তাদেরকে মূলদ সংখ্যা বলে। যেমন: ১/২, ৩/৫, ৫/৯ । অন্যদিকে অমূলদ সংখ্যা যেমন: pie(3.1415……), সকল জটিল সংখ্যা, ইত্যাদি

৪। যদি দশমিকের পরের ঘরগুলো সসীম হয় অর্থাৎ গননা করা যায়, তবে সংখ্যাটি মূলদ। যেমন –৫.৩৪৫, ২.৩৫ ইত্যাদি। অন্যদিকে দশমিকের পরের ঘরগুলো যদি ভিন্ন ভিন্ন আকারে অসীম হয়, তবে সংখ্যাটি অমূলদ। যেমন –৫.৩৫৭৬ —-

৫। p ও q পরস্পর সহমৌলিক হবে না, অর্থাৎ p ও q এর গ.সা.গু. হবে কেবলমাত্র 1। অন্যদিকে 256.2368………..;17392.192837…………√2,√3,√5,√7,√11,√19 (বিশেষ করে মৌলিক সংখ্যাগুলোর বর্গমূল) ইত্যাদি। এদের ক্ষেত্রে দশমিকের পরের পুরো অংশটা অপরিমাপ যোগ্য ।