গুল্ম ও বিরুৎ উদ্ভিদ এর মধ্যে পার্থক্য

গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ :

যেসব উদ্ভিদের কাণ্ড শক্ত কিন্তু বিক্ষের মতো দীর্ঘ ও মোটা নয়, এরা মাঝারি আকারের হয় এবং এদের কাণ্ড থেকে বহু শাখা-প্রশাখার সৃষ্টি হয়। এ উদ্ভিদগুলো দেখতে অনেকটা ঝোপের মতো দেখায়, এসকল উদ্ভিদকেই গুল্ম উদ্ভিদ বলে।

এরা মাঝারি আকারে হয়ে থাকে। শেকড় মাটির বেশি গভীরে যায় না। এদের গোড়া থেকেই শাখা-প্রশাখা বের হয়। গুল্ম উদ্ভিদ সাধারণত ঝোপবিশিষ্ট্য হয়। কিছু গুল্ম উদ্ভিদ ফুল ও ফল প্রদান করে। এগুলো অত্যন্ত সহিষ্ণু ও প্রায় সকল ধরনের মাটিতে জন্মে। গুল্ম উদ্ভিদ যেমন: জবা, রঙ্গন, গোলাপ, লেবু ইত্যাদি।

বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদঃ

ভ্রুনমুকুল থেকে উৎপন্ন হয়ে সপুষ্পক উদ্ভিদের যে অংশ পর্ব, পর্বমধ্য, মুকুল এবং পাতা, ফুল ও ফল ধারন করে, তাকে কাণ্ড বলে। যে সব উদ্ভিদ সাধারনত আকারে ছোট এবং যাদের কাণ্ড নরম তাদেরকে বিরুৎ (Herb) বলে। জীবনের স্থিতিকাল অনুযায়ী বিরুৎ ৪ প্রকার।

১) ক্ষণজীবী (Ephemerals)—যে সব উদ্ভিদ মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের জীবনচক্র সম্পন্ন করে, তাদের ক্ষণজীবী উদ্ভিদ বলে। সাধারনত দুই-তিন মাসের মধ্যেই এ সব উদ্ভিদকে অঙ্কুরিত হওয়া থেকে শুরু করে ফুল, ফল প্রদানের প্রক্রিয়া শেষ করতে হয়। উদাহনণ : Balanites aegyptiaca, ফরগেট মি নট ইত্যাদি।

২) একবর্ষজীবী (Annual)- যে সব বিরুৎ উদ্ভিদের জীবনচক্র এক বছর বা এক ঋতুতেই সমাপ্ত হয়, তাদের একবর্ষজীবী বিরুৎ বলে। যেমন : ধান, সরিষা।

৩) দ্বিবর্ষজীবী (Biennia)- যে সব বিরুৎ উদ্ভিদ দুইটি ঋতু বা দুই বৎসরকাল বেঁচে থাকে, তাদের দ্বিবর্ষজীবী বিরুৎ বলে। প্রথম ঋতুতে এদের অঙ্গসমূহের বৃদ্ধি ঘটে এবং দ্বিতীয় ঋতুতে ফুল, ফল ও বীজ উৎপন্ন করে মারা যায়। উদাহরণ : মূলা, গাজর ইত্যাদি। . ঘ) বহুবর্ষজীবী (Perennials)- যে সব বিরুৎ উদ্ভিদ দুই ঋতু বা দুই বৎসর কালের বেশি সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকে, তারাই বহুবর্ষজীবী। যেমন : কলাবতী, আদা ইত্যাদি।

গুল্ম ও বিরুৎ উদ্ভিদ এর মধ্যে পার্থক্য:

ভ্রুনমুকুল থেকে উৎপন্ন হয়ে সপুষ্পক উদ্ভিদের যে অংশ পর্ব, পর্বমধ্য, মুকুল এবং পাতা, ফুল ও ফল ধারন করে, তাকে কাণ্ড বলে। গুল্ম ও বিরুৎ উদ্ভিদ এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরুপ-

১। গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ মাঝারি আকারের। অপরপক্ষে বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদের আকার ছোট।

২। গুল্ন উদ্ভিদের কাণ্ড শক্ত তবে মোটা নয়।অপরপক্ষে বিরুৎ উদ্ভিদের কাণ্ড, শাখা ও প্রশাখা নরম।কাণ্ড থেকে বহু শাখা-প্রশাখার সৃষ্টি হয়।

৩। গুল্ন উদ্ভিদের মুল মাটির গভীরে যায় না। বিরুৎ উদ্ভিদের মুল মাটির উপরের সরে থাকে ।

৪। গুল্ন উদ্ভিদ যেমন: জবা, রঙ্গন, গোলাপ, লেবু ইত্যাদি গাছ । বিরুৎ উদ্ভিদ যেমন : ধান , সরিষা, ঘাস, কচু ইত্যাদি ।


বিজ্ঞান সংক্রান্ত আরো পার্থক্য পড়ুনঃ Science

আরোও পার্থক্য পড়ুনঃ  সংকীর্ণ মুদ্রা ও বিস্তৃত মুদ্রার মধ্যে পার্থক্যমোট, গড় ও প্রান্তিক ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্যস্বল্পকালীন ও দীর্ঘকালীন উৎপাদন ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্যদামের স্থিতিস্থাপকতা এবং চাহিদার আয়ের স্থিতিস্থাপকতার মধ্যে পার্থক্য