ভাইরাস ও ম্যালওয়্যারের মধ্যে পার্থক্য

ভাইরাস (Virus):

কম্পিউটার ভাইরাস হল এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা ব্যবহারকারীর অনুমতি বা ধারণা ছাড়াই নিজে নিজেই কপি হতে পারে। মেটামর্ফিক ভাইরাসের মত তারা প্রকৃত ভাইরাসটি কপিগুলোকে পরিবর্তিত করতে পারে অথবা কপিগুলো নিজেরাই পরিবর্তিত হতে পারে। একটি ভাইরাস এক কম্পিউটার থেকে অপর কম্পিউটারে যেতে পারে কেবলমাত্র যখন আক্রান্ত কম্পিউটারকে স্বাভাবিক কম্পিউটারটির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। যেমন: কোন ব্যবহারকারী ভাইরাসটিকে একটি নেট ওয়ার্কের মাধ্যমে পাঠাতে পারে বা কোন বহনযোগ্য মাধ্যম যথা ফ্লপি ডিস্ক, সিডি, ইউএসবি ড্রাইভ বা ইণ্টারনেটের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।

এছাড়াও ভাইরাসসমূহ কোন নেট ওয়ার্ক ফাইল সিস্টেম কে আক্রান্ত করতে পারে, যার ফলে অন্যান্য কম্পিউটার যা ঐ সিস্টেমটি ব্যবহার করে সেগুলো আক্রান্ত হতে পারে। ভাইরাসকে কখনো কম্পিউটার ওয়ার্ম ও ট্রোজান হর্সেস এর সাথে মিলিয়ে ফেলা হয়। ট্রোজান হর্স হল একটি ফাইল যা এক্সিকিউটেড হবার আগ পর্যন্ত ক্ষতিহীন থাকে।

ম্যালওয়্যার (Malware):

ম্যালওয়্যার (Malware) হল ইংরেজি malicious software (ক্ষতিকর সফটওয়্যার) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। একজাতীয় সফ্‌টওয়্যার যা কম্পিউটার অথবা মোবাইল এর স্বাভাবিক কাজকে ব্যহত করতে, গোপন তথ্য সংগ্রহ করতে, কোনো সংরক্ষিত কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে বা অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন দেখাতে ব্যবহার হয়। 1990 সালে Yisrael Radai ম্যালওয়্যার শব্দটি ব্যবহার করেন। ইতিপূর্বে এই জাতীয় সফ্‌টওয়্যারকে কম্পিউটার ভাইরাস বলা হোতো।

ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে পড়ার প্রথম শ্রেনী হল পরজীবি প্রকৃতির সফ্‌টওয়্যার অংশবিশেষ যারা কোনো এক্সিকিউটেবল্‌ ফাইলের সঙ্গে নিজেদের জুড়ে নেয়। এই অংশ হতে পারে কোনো মেশিন কোড যা সংক্রমিত করতে পারে মেশিনের কোনো অ্যাপ্লিকেশন্‌ , ইউটিলিটি, সিস্টেম পোগ্রাম, এমনকি মেশিন চালু হওয়ার জন্য অত্যাবশ্যক কোনো কোড কে বুঝায়। ম্যালওয়্যার সংজ্ঞাত হয় তার হানিকারক উদ্দেশ্য দ্বারা। এরা কম্পিউতার ব্যবহারকারীর স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে।

ভাইরাস ও ম্যালওয়্যারের মধ্যে পার্থক্য:

ম্যালওয়্যার (Malware) হল ইংরেজি malicious software (ক্ষতিকর সফটওয়্যার) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ভাইরাস ও ম্যালওয়্যারের মধ্যে পার্থক্য নিচে আলোচনা করা হয়েছে-

“ম্যালওয়্যার” যার পুরো অর্থ ম্যালেসিয়াস সফটওয়্যার ,একধরনের কম্পিউটার কোড যা কোনও প্রোগ্রামযোগ্য ডিভাইস, সার্ভার বা নেটওয়ার্কের ক্ষতির জন্য ডিজাইন করা হয়েছে

ম্যালওয়্যার ও ভাইরাসের মধ্যে মূল পার্থক্য হল ম্যালওয়্যার নিজে নিজে ছড়াতে পারে নিজের কোড অন্য প্রোগ্রামের প্রবেশ করার মাধ্যমে ।

ভাইরাস কোন প্রোগ্রাম এর সাথে যুক্ত থাকার মাধ্যমে অন্য কম্পিউটারে প্রবেশ করে। কমার্শিয়াল ইন্টারনেট এর যাত্রা শুরু থেকেই ভাইরাস এর যাত্রা শুরু । যেমনঃ পেন ড্রাইভ, ই-মেইল , ফেইক সাইট ইত্যাদি ।

এদের মধ্যে ম্যালওয়্যার বেশি বিপদজনক কারন এটি নিজে নিজে ছড়াতে পারে, একবার যদি আপনার পিসি তে অ্যাটাক করে তাহলে আপনার নেটওয়ার্ক এ সাথে সংযুক্ত সকল পিসিতে অ্যাটাক করার সম্ভাবনা থাকে।

ম্যালওয়ার ক্ষতিকারক সফটওয়্যারের সংক্ষিপ্ত রূপ যা মূলত সাইবার অপরাধীদের দ্বারা একটি সফ্টওয়্যার তৈরি করেছে ব্যবহারকারীর সিস্টেমগুলি (পিসি) চালাতে এবং অভ্যন্তরীণ তথ্য বা ক্ষতি সংগ্রহ বা সিস্টেম বা অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষতি করতে পারে।

এই সফ্টওয়্যারটিকে সফ্টওয়্যারটির অনুপস্থিত অভিপ্রায় হিসাবে ম্যালওয়ার হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ম্যালওয়ারগুলি ভাইরাস, ওয়ার্মস এবং ট্রোজান ঘোড়া, স্পাইওয়্যার, অ্যাডওয়্যারের, স্কাইওয়্যার এবং ক্রাইমওয়ার্ক।

একটি ভাইরাস এক কম্পিউটার থেকে অপর কম্পিউটারে যেতে পারে কেবলমাত্র যখন আক্রান্ত কম্পিউটারকে স্বাভাবিক কম্পিউটারটির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়াও ভাইরাসসমূহ কোন নেট ওয়ার্ক ফাইল সিস্টেম কে আক্রান্ত করতে পারে, যার ফলে অন্যান্য কম্পিউটার যা ঐ সিস্টেমটি ব্যবহার করে সেগুলো আক্রান্ত হতে পারে। ভাইরাসকে কখনো কম্পিউটার ওয়ার্ম ও ট্রোজান হর্সেস এর সাথে মিলিয়ে ফেলা হয়। ট্রোজান হর্স হল একটি ফাইল যা এক্সিকিউটেড হবার আগ পর্যন্ত ক্ষতিহীন থাকে।