পানিসম ও তাপ ধারন ক্ষমতার মধ্যে পার্থক্য

পানিসম:

একক ভরের কোন পদার্থের তাপমাত্রা এক একক বৃদ্ধি করতে যে পরিমান তাপের প্রয়োজন হয় সেই তাপে যত টুকু বিশুদ্ধ পানির তাপমাত্রা এক একক বৃদ্ধি করা যায় তাকে উক্ত পদার্থের পানিসম বলে। মানে ১ গ্রাম তামার তাপমাত্রা ১ কেলভিন বৃদ্ধি কতে যতটুকু তাপের দরকার ততটুকু তাপের সাহায্যে যত গ্রাম পানির তাপমাত্রা ১ কলভিন বৃদ্ধি করা যায় তাকে তামার পানিসম বলে।

তাপ ধারণ ক্ষমতা:

কোন পদার্থের তাপমাত্রা একক পরিমাণ বৃদ্ধি করতে যে নির্দিষ্ট পরিমাণ তাপের প্রয়োজন হয় তাকে ঐ পদার্থের তাপ ধারণ ক্ষমতা বলে। এক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হয় যেন ঐ সময় দশার কোন পরিবর্তন না ঘটে। অর্থাৎ বস্তুটি যেন এক অবস্থা থেকে অন্য কোন অবস্থায় (কঠিন থেকে তরল বা তরল থেকে বাষ্প) রুপ না নেয়। কারণ সেক্ষেত্রে প্রযুক্ত তাপ বস্তুটির অবস্থার পরিবর্তনে ব্যবহৃত হয়ে যায় এবং বস্তুর তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকে। কোন ১ কেজি ভরের বস্তুর তাপমাত্রা ১ কেলভিন বাড়াতে যে তাপের প্রয়োজন হয়, তাকে ঐ বস্তুর উপাদানের আপেক্ষিক তাপ ধারণ ক্ষমতা বা আপেক্ষিক তাপ বলে। অর্থাৎ আপেক্ষিক তাপ = গৃহীত বা বর্জিত তাপ (Q)/ভর (m) × তাপমাত্রার পার্থক্য (Δθ)

পানিসম ও তাপ ধারন ক্ষমতার মধ্যে পার্থক্য:

একক ভরের কোন পদার্থের তাপমাত্রা এক একক বৃদ্ধি করতে যে পরিমান তাপের প্রয়োজন হয়। পানিসম ও তাপ ধারন ক্ষমতার মধ্যে পার্থক্য নিচে দেখানো হয়েছে-

১। কোনো বস্তুর তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি বৃদ্ধি করতে যে পরিমাণ তাপের প্রয়োজন হয় সেই তাপ দিয়ে যে পরিমাণ পানির তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি বৃদ্ধি করা যায় সেই পরিমাণ পানিকে ঐ বস্তুর পানি-সম বলে। অন্যদিকে কোনো বস্তুর তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি বৃদ্ধি করতে যে পরিমাণ তাপের প্রয়োজন হয়। তাকে ঐ বস্তুর তাপধারণ ক্ষমতা বলে।

২। পানিসমকে W দ্বারা প্রকাশ করা হয়। অন্যদিকে, তাপ ধারন ক্ষমতাকে C দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

৩। স্তুর ভর ও আপেক্ষিক তাপের গুণফলকে ভরের এককে প্রকাশ করলে পানি-সম পাওয়া যায়। অন্যদিকে, বস্তুর ভর এবং আপেক্ষিক তাপের গুনফলকে তাপের এককে প্রকাশ করলে তাপধারণ ক্ষমতা পাওয়া যায়।

৪। পানি-সম দ্বারা পানির পরমাণ বুঝায়। অন্যদিকে, তাপ গ্রহীতা বা তাপ ধারণ ক্ষমতা দ্বারা তাপের পরিমাণ বুঝায়।