সাদা ও বাদামি ডিমের মধ্যে পার্থক্য

ডিম বেশিরভাগ মানুষের জন্য বিকল্প প্রিয় ব্রেকফাস্ট ।যা তৈরি করা সহজ এবং সুস্বাদু, ডিম আপনাকে স্বাস্থ্যকর নোটে দিন শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি সরবরাহ করে। ডিম সেদ্ধ হোক বা স্ক্র্যাম্বল করা হোক না কেন, আপনি প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন এবং খনিজগুলির পর্যাপ্ত ডোজ পাবেন, যা অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির মসৃণ কার্যকারিতায় সাহায্য করে। কিন্তু ডিম কেনার সময়, আপনি প্রায়ই নিজেকে বাদামী এবং সাদা ডিমের মধ্যে বিভক্ত দেখতে পাবেন। আপনি শেষ পর্যন্ত বাদামীগুলিকে তুলে নেবেন কারণ “বাদামীকে ভাল বলে মনে করা হয়”, তা ব্রাউন রুটি, ভাত বা চিনি হোক। কিন্তু এটি সত্যিই সত্য।

সাদা ও বাদামি ডিমের মধ্যে পার্থক্যঃ

যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা ডিম কিনতে গিয়ে বাদামি নাকি সাদাটা কিনবেন এ নিয়ে হয়তো বিভ্রান্ত হোন। তাই সাদা ও বাদামি ডিমের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে নিচে আলোচনা করা হয়েছে-

বাদামী এবং সাদা ডিমের মধ্যে কোন স্বাদ বা পুষ্টির পার্থক্য নেই। পার্থক্য শুধুমাত্র শেলের রঙে। বাদামী ডিমের খোসার মধ্যে একটি পিগমেন্ট থাকে যা সাদা ডিমে থাকে না। সাদা রঙের চেয়ে বাদামি রঙের এসব খাবার বেশি স্বাস্থ্যকর। কিন্তু বাদামি নাকি সাদা রঙের ডিম বেশি স্বাস্থ্যকর তা নিয়ে নানা মত রয়েছে।

অনেকে মনে করেন সাদা ডিম বেশি স্বাস্থ্যকর। আবার অনেকের ধারণা বাদামি ডিম। অনেকে মনে করেন, প্রকৃত পার্থক্যটা হলো দামে। কেননা, সাদা ও বাদামি ডিমের মধ্যে বাজারে বাদামিটার দাম একটু বেশি। তবে এই দুইয়ের মধ্যে পুষ্টি ও গুণের পার্থক্য কেবলই জনশ্রুতি।
করনেল ইউনিভার্সিটির পশু বিজ্ঞান বিভাগের ভিজিটিং ফেলো ট্রো ভি. বুইয়ের মতে, বাদামি ও সাদা ডিমের মধ্যে পুষ্টিগত কোনো পার্থক্য নেই। তবে বাদামি রঙের ডিমে তুলনামূলক বেশি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকলেও পার্থক্যটা অতি সামান্য বলে মনে করেন।

সাদা রঙের পালক বা কানের লতি ওয়ালা মুরগি সাদা ডিম দেয় আর বাদামি রঙের পালক বা কানের লতি ওয়ালা মুরগি বাদামি ডিম দেয়। বাজারে বাদামি ডিমের চেয়ে সাদা ডিম বেশি দেখা যায়। কেননা সাদা পালকের মুরগির প্রজনন কিছুটা সস্তা। তারা বাদামি রঙের মুরগির চেয়ে খায়ও কম।

বাদামি ডিম উৎপাদনে খরচ বেশি হয়। কেননা এসব মুরগির খাবারে খরচ বেশি হয়। শুধু তাই নয়, আকারের দিক থেকেও বাদামি রঙের মুরগি বড় হয়ে থাকে। এসব মুরগি বেশি খায়, তাই এ গুলো পালতে খরচও বেশি।

বাদামি ও সাদা ডিমের পুষ্টিগুণ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ গবেষণায় কোনো পুষ্টিগত পার্থক্য দেখা যায়নি।