অ্যালগরিদম ও ফ্লোচার্টের মধ্যে পার্থক্য

অ্যালগোরিদম (Algorithm):

কোনো একটি নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য যুক্তিসম্মত ও ধাপে ধাপে সমাধান করার যে পদ্ধতি, তাকে অ্যালগরিদম বলা হয়। কোনো সমস্যাকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং দ্বারা সমাধান করার পূর্বে কাগজে-কলমে সমাধান করার জন্যই অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়। আরব গনিতবিদ ‘আল খারিজমী’ এর নাম অনুসারে অ্যালগোরিদম নামকরন করা হয়েছে। উদাহরণ- মনে করুন মা বাড়ি নেই তাই আপনাকে লুডুস রান্না করতে হবে। এখন লুডুস রান্নার জন্য আপনাকে কিছু প্রক্রিয়া অনুসারণ করতে হবে।

এখন, algorithm হিসেবে লুডুস রান্নার উদাহরণটা বুঝে নিন। কারণ, লুডুস রান্নার জন্য নিদিষ্ট কিছু প্রক্রিয়া অনুসারণ করতে হয়েছে। এই প্রক্রিয়া যদি উল্টোপাল্টা হয়ে যায় তাহলে লুডুস রান্না করা হবে না।

ফ্লোচার্ট (Flowchart):

ফ্লোচার্ট এর অপর নাম প্রবাহ চিত্র । অ্যালগরিদম এর চিত্ররূপ হল ফ্লোচার্ট। যে চিত্রভিত্তিক পদ্ধতিতে বিশেষ কতকগুলো চিহ্নের সাহায্যে কোনো একটি নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করা হয় তাকে ফ্লোচার্ট বলা হয়। ফ্লোচার্টের সাহায্যে প্রোগ্রাম বোঝা সহজ হয় বলে এটি প্রোগ্রামার ও ব্যবহারকারীর মাঝে সংযোগ রক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়। ফ্লোচার্টের ভিন্নতার কারণে প্রোগ্রামের উন্নত বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। একজন ভাল প্রোগ্রামার হতে হলে অবশ্যই ফ্লোচার্টে দক্ষ হতে হবে । সব ধরনের প্রোগ্রামের জন্য ফ্লোচার্ট লিখা যায়।

অ্যালগরিদম ও ফ্লোচার্টের মধ্যে পার্থক্যঃ

কোনো একটি নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য যুক্তিসম্মত ও ধাপে ধাপে সমাধান করার যে পদ্ধতি। অ্যালগরিদম ও ফ্লোচার্টের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

১। কোনো একটি নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য যুক্তিসম্মত ও ধাপে ধাপে সমাধান করার যে পদ্ধতি, তাকে অ্যালগরিদম বলা হয়। অন্যদিকে, চিত্রভিত্তিক পদ্ধতিতে বিশেষ কতকগুলো চিহ্নের সাহায্যে কোনো একটি নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করা হয় তাকে ফ্লোচার্ট বলা হয়।

২। অ্যালগরিদম কোনো সমস্যা সমাধানের সুনির্দিষ্ট ধাপসমূহ। অন্যদিকে, অ্যালগরিদমের চিত্ররূপেই ফ্লোচার্ট ।

৩। অ্যালগরিদম বর্ণনামূলক। অন্যদিকে ফ্লোচার্ট চিত্রনির্ভর।

৪। অ্যালগরিদমের ভিত্তিতে ফ্লোচার্ট তৈরি হয়। অন্যদিকে, ফ্লোচার্টের ভিত্তিতে প্রোগ্রাম রচনা করা হয়।