বিএমআই এবং বিএমআর এর মধ্যে পার্থক্য

বিএমআই এবং বিএমআর দুটি স্থূলতা নির্ণয়ের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র । বিএমআই এবং বিএমআর এর মধ্যে সূত্রগত পার্থক্য রয়েছে। নিচে বিএমআই এবং বিএমআর এর মধ্যে পার্থক্য দেখানো হয়েছে-

বিএমআই (BMI) :
BMI মানে “Body Mass Index”। এটি আপনার উচ্চতার তুলনায় আপনার ওজনের চেয়ে বেশি কিছু নয়। সঠিক বলতে এটা কেজি/মি^2। সে স্থূলতার কোন স্তরে আছে সেটা জানতে চাও? এর জন্য তার বিএমআই বের করতে হবে। এর মানে হলো বডিমাস ইনডেক্স। শরীরের উচ্চতা ও ওজনের অনুপাতই হচ্ছে বিএমআই। অর্থাৎ উচ্চতা অনুযায়ী ওজন স্বাভাবিক আছে কি না সেটা মাপার উপায় এটি। এটি সেই ওজনের জন্য হিসাব করে না…যদি আপনি এমন কাউকে দেখেন যার শরীরের চর্বি শতাংশ কম কিন্তু প্রচুর পেশী আছে, তাহলে এই মেট্রিক অনুসারে তারা “অতি ওজন” হতে পারে।

জনসংখ্যার দিকে তাকানোর সময় এটি কার্যকর। বেশিরভাগ লোক কাজ করে না, এবং এটি একটি মোটামুটি শালীন, সাধারণভাবে, একটি দেশ কতটা মোটা তা দেখার উপায়। ব্যক্তিগতভাবে, আমি মনে করি শরীরের চর্বি শতাংশ বা কোমরের পরিধি উভয়ই ব্যক্তিদের ট্র্যাক করার জন্য আরও ভাল ব্যবস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০০০ সালে বিএমআইয়ের মান নির্দেশিকা প্রকাশ করে। এর মাধ্যমে শরীরে স্বাভাবিক ওজন বজায় আছে কি না তা জানা যায় সহজেই। নির্দেশিকা অনুযায়ী কারো বিএমআই ১৮.৫-এর কম হলে সে ওজন স্বল্পতায় ভুগছে। ১৮.৫০ থেকে ২৪.৯৯ হলে স্বাভাবিক ওজন, ২৫-২৯.৯৯ হলে অতিরিক্ত ওজন, ৩০-৩৪.৯৯ স্থূলতার প্রথম স্তর, ৩৫-৩৯.৯৯ স্থূলতার দ্বিতীয় স্তর আর বিএমআই ৪০-এর ওপরে হলে স্থূলতার তৃতীয় স্তর। তোমার বন্ধুটির বিএমআই হিসাব করে এলে ২৭.২৮।

বিএমআর (BMR) :
বিএমআরের পূর্ণরূপ Basal Metabolic Rate। এর মাধ্যমে পূর্ণ বিশ্রামরত একজন মানুষের দেহে ব্যবহৃত শক্তির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়। তবে বিএমআরের মতো বিএমআই নির্ণয়ে সবার জন্য একই সূত্র নয়। লিঙ্গ ও বয়সভেদে ভিন্নতা আছে। বিজ্ঞানী হ্যারিস বেনেডিক্টের সূত্র ব্যবহার করে বিএমআর নির্ণয় করা যায়।

ছেলেদের বিএমআর = ৬৬ +(১৩.৭ * ওজন-কেজি) + (৫ * উচ্চতা-সেন্টিমিটার) (৬.৮ বয়স-বছর)

মেয়েদের বিএমআর = ৬৫৫ +(৯.৬ ওজন কেজি) + (১.৮ * উচ্চতা সেন্টিমিটার) (৪.৭ * বয়স-বছর)

ধরো, রাকিব তোমার বড় ভাই। তার বয়স ২৭ বছর। উচ্চতা ১৬৫ সেন্টিমিটার। ওজন ৭৫ কেজি। বিএমআর কত? উত্তর : বিএমআর=৬৬+(১৩.৭৭৫)+(৫১৬৫)+(৬.৮*২৭) = ২১০২.১ । বিএমআর মানের সঙ্গে ব্যক্তির কাজের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন সূচক গুণ করে তার দৈনিক ক্যালরি চাহিদা বের করা যায়।

বিএমআই এবং বিএমআর এর মধ্যে পার্থক্যঃ
১. বিএমআরের পূর্ণরূপ Basal Metabolic Rate। অন্যদিকে, বিএমআরের পূর্ণরূপ Basal Metabolic Rate।

২. শরীরের উচ্চতা ও ওজনের অনুপাতই হচ্ছে বিএমআই। অর্থাৎ উচ্চতা অনুযায়ী ওজন স্বাভাবিক আছে কি না সেটা মাপার উপায় এটি। অন্যদিকে, বিএমআর এর মাধ্যমে পূর্ণ বিশ্রামরত একজন মানুষের দেহে ব্যবহৃত শক্তির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়। তবে বিএমআরের মতো বিএমআই নির্ণয়ে সবার জন্য একই সূত্র নয়।

৩. বিএমআই একজন ব্যক্তির উচ্চতা এবং ওজনের উপর ভিত্তি করে তার শরীরের গঠন ও চর্বির পরিমাণ নির্দেশ করে। অন্যদিকে, বিএমআর পূর্ণ বিশ্রামরত অবস্থায় শরীরে যে পরিমাণ ক্যালোরি পোড়ে তার পরিমাণ।

৪. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিকা অনুযায়ী কারো বিএমআই ১৮.৫-এর কম হলে সে ওজন স্বল্পতায় ভুগছে। ১৮.৫০ থেকে ২৪.৯৯ হলে স্বাভাবিক ওজন, ২৫-২৯.৯৯ হলে অতিরিক্ত ওজন, ৩০-৩৪.৯৯ স্থূলতার প্রথম স্তর, ৩৫-৩৯.৯৯ স্থূলতার দ্বিতীয় স্তর আর বিএমআই ৪০-এর ওপরে হলে স্থূলতার তৃতীয় স্তর। তোমার বন্ধুটির বিএমআই হিসাব করে এলে ২৭.২৮।

অন্যদিকে, বিজ্ঞানী হ্যারিস বেনেডিক্টের সূত্র ব্যবহার করে বিএমআর নির্ণয় করা যায়।

ছেলেদের বিএমআর = ৬৬ +(১৩.৭ * ওজন-কেজি) + (৫ * উচ্চতা-সেন্টিমিটার) (৬.৮ বয়স-বছর)

মেয়েদের বিএমআর = ৬৫৫ +(৯.৬ ওজন কেজি) + (১.৮ * উচ্চতা সেন্টিমিটার) (৪.৭ * বয়স-বছর)