গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পের মধ্যে পার্থক্য

গার্মেন্টস (Garment):

গার্মেন্টস হলো মানুষের শরীরে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে কোন পোশাক যা ফেব্রিক্স বা অন্যান্য টেক্সটাইল মেটারিয়ালস দিয়ে তৈরি করা হয়। তৈরিকৃত পোশাকের উপর বিভিন্ন ধরনের নকশা প্যাটার্ন ইত্যাদি যোগ করে কাপড়কে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প যাত্রা শুরু করে ষাটের দশকে। তবে সত্তরের দশকের শেষের দিকে রপ্তানিমুখী খাত হিসেবে এই শিল্পের উন্নয়ন ঘটতে থাকে। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানিমুখী শিল্পখাত। ২০২১-২২ অর্থবছরে শুধুমাত্র তৈরি পোশাক শিল্প থেকে রপ্তানির পরিমাণ ৪২.৬১৩ বিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮১.৮১ ভাগ। বর্তমানে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বেে একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ২য় এবং শীর্ষ স্থানে রয়েছে চীন। ডব্লিউটিও’র বর্তমান বৈশ্বিক হিসেবে মোট পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের দখলে ৬.৪ শতাংশ।

সাধারণত, ব্যবহার, শৈলী এবং উপাদান উপর ভিত্তি করে, বিভিন্ন ধরনের গার্মেন্টস বিভিন্ন শৈলী প্রদর্শন। তবে গার্মেন্টস এর নির্দিষ্ট কোনো শ্রেণীবিভাগ নেই কাজেই গার্মেন্টস কত প্রকার তা জানা যায়নি। বর্তমানে, গার্মেন্টসকে নিম্নলিখিত দিকগুলির উপর ভিত্তি করে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়: ১.ফেব্রিক এর প্রকার ২.সেশন ৩.ইভেন্ট ৪.অ্যাপলিকেশন ৫.ম্যানুফেকচারের ম্যাথড ৬.উৎস ৭.লিঙ্গ ভেদ ৮.ডিজাইন ৯.পোশাক দৈর্ঘ্য।

টেক্সটাইল শিল্প (Textile Industry):

১৯৬৯ এর দশকে স্থানীয় বাঙালি উদ্যোক্তারা তাদের নিজস্ব বৃহৎ টেক্সটাইল। স্বাধীনতার পরে, টেক্সটাইল এবং পোশাক শিল্প বিশেষত তৈরি পোশাক খাতকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ রফতানিমুখী শিল্পায়ন গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্প গত ২৫ বছর ধরে মূল রফতানি বিভাগ এবং বৈদেশিক মুদ্রার একটি প্রধান উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। টেক্সটাইল শিল্প অনেক বড় হয়ে থাকে। কারণ এটি নানা উপকরণ নিয়ে গঠিত। একদিকে যেমন সিল্ক, উল ও তুলার মতো প্রাকৃতিক উপকরণ নিয়ে কাজ করা হয়, অন্যদিকে পলিয়েস্টার, পলিপ্রোপিলিন, নাইলন ও সিন্থেটিক উপাদানও রয়েছে। রাজস্ব আয়ের বড় খাতও এই টেক্সটাইল শিল্প। বিশ্বে টেক্সটাইলসমৃদ্ধ তিনটি দেশ হলো চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।

গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পের মধ্যে পার্থক্যঃ

গার্মেন্টস হলো মানুষের শরীরে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে কোন পোশাক যা ফেব্রিক্স বা অন্যান্য টেক্সটাইল মেটারিয়ালস দিয়ে তৈরি করা হয়। তৈরিকৃত পোশাকের উপর বিভিন্ন ধরনের নকশা প্যাটার্ন ইত্যাদি যোগ করে কাপড়কে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প যাত্রা শুরু করে ষাটের দশকে।

অন্যদিকে, ১৯৬৯ এর দশকে স্থানীয় বাঙালি উদ্যোক্তারা তাদের নিজস্ব বৃহৎ টেক্সটাইল। স্বাধীনতার পরে, টেক্সটাইল এবং পোশাক শিল্প বিশেষত তৈরি পোশাক খাতকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ রফতানিমুখী শিল্পায়ন গ্রহণ করেছে।বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্প গত ২৫ বছর ধরে মূল রফতানি বিভাগ এবং বৈদেশিক মুদ্রার একটি প্রধান উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পৃথিবীতে মানুষকে তিনটি মৌলিক চাহিদা থেকে আলাদা করা যায় না। যেমন- বাসস্থান, পোশাক ও খাদ্য। পোশাক এমন একটি উপকরণ যা মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পরতে হয়। ধনী-গরিব নির্বিশেষে প্রত্যেককেই এই বস্তুটি পরিধান না করলে চলে না। যেখানে এই বস্তুটি তৈরি হয় সেটিকে গার্মেন্টস বা পোশাক কারখানা বলা হয়।

গার্মেন্টস থেকে যেসব পোশাক উৎপাদন হয় তার মধ্যে রয়েছে- আন্ডারওয়্যার, শার্ট, জিন্স, টি-শার্ট, জ্যাকেট, ব্লাউজ ইত্যাদি। পোশাক পণ্যের বাজার লক্ষ্য করে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই গার্মেন্টস কারখানা গড়ে উঠেছে। পোশাক শিল্প গড়ে তুলতে এখনো অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। পোশাক শিল্পে নতুনত্ব আনা, ফ্যাশন পরিবর্তন হওয়া ও সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হয়।

অন্যদিকে টেক্সটাইল শিল্প- পোশাক তৈরিতে যে উপকরণ বা কাঁচামাল প্রয়োজন হয় সেগুলো প্রস্তুত করে। যেমন- সুতা, কাপড় ও ফ্যাব্রিক্স ইত্যাদি। টেক্সটাইল শিল্প অনেক বড় হয়ে থাকে। কারণ এটি নানা উপকরণ নিয়ে গঠিত। একদিকে যেমন সিল্ক, উল ও তুলার মতো প্রাকৃতিক উপকরণ নিয়ে কাজ করা হয়, অন্যদিকে পলিয়েস্টার, পলিপ্রোপিলিন, নাইলন ও সিন্থেটিক উপাদানও রয়েছে। রাজস্ব আয়ের বড় খাতও এই টেক্সটাইল শিল্প। বিশ্বে টেক্সটাইলসমৃদ্ধ তিনটি দেশ হলো চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।