ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক পরিবেশের মধ্যে পার্থক্য

ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক পরিবেশের মধ্যে পার্থক্যের মাধ্যমে পরিবেশের মৌলিক পার্থক্য সম্পর্কে জানা যায়। ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক পরিবেশের মধ্যে বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য রয়েছে। নিচে ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক পরিবেশের মধ্যে পার্থক্য দেখানো হয়েছে-

ব্যষ্টিক পরিবেশ (Micro Environment):
কোন কোম্পানির বিপণন কার্যক্রমের উপর নিয়ন্ত্রণযোগ্য যেসব শক্তি, উপাদান বা পক্ষসমূহ প্রত্যক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে তাদেরকে একত্রে ব্যষ্টিক পরিবেশ বলে। ব্যষ্টিক পরিবেশের উপাদানগুলো প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ অথবা খুব কাছাকাছি অবস্থান করে। সে কারণে প্রতিষ্ঠানের বিপণনকারী এই উপাদানগুলোকে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

সামষ্টিক পরিবেশ (Macro Environment):
সামষ্টিক পরিবেশ হলো কোন প্রতিষ্ঠানের বিপণন কার্যক্রমের উপর অনিয়ন্ত্রণযোগ্য সেসব শক্তি, উপাদান বা পক্ষসমূহ যা পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে। সামষ্টিক পরিবেশের উপাদানসমূহ বাহ্যিক ও গতিশীল। তাই প্রতিষ্ঠানের বিপণনকারী এই উপাদানগুলোকে এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক পরিবেশের মধ্যে পার্থক্যঃ
১. ব্যষ্টিক পরিবেশের উপাদান গুলো কোম্পানি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রন করতে পারে। অন্যদিকে, সামষ্টিক পরিবেশের উপাদান গুলো কোম্পানি নিয়ন্ত্রন করতে পারে না।

২. ব্যাষ্টিকের উপাদানগুলো প্রত্যক্ষ ভাবে প্রভাব বিস্তার করে। অন্যদিকে, সামষ্টিক পরোক্ষ ভাবে প্রভাব বিস্তার করে ।

৩. ব্যষ্টিকের উপাদানগুলো প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি অবস্থান করে । অন্যদিকে, সামষ্টিকের গুলো প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রনের বাহিরে অবস্থান করে।

৪. ব্যষ্টিক পরিবেশের উপাদান গুলো তুলনামূলক কম পরিবর্তনশীল। অন্যদিকে, ব্যষ্টিকের উপাদান গুলো বেশি পরিবর্তনশীল।

৫. বিপণনকারী এই পরিবেশের উপাদানসমূহ পরিবর্তিত হলে অনেকটা সহজে পূর্বানুমান করতে পারে। অন্যদিকে, সামষ্টিক পরিবেশের উপাদানসমূহের পরিবর্তন অনেক ক্ষেত্রেই পূর্বানুমান করা কঠিন।

৬. বিপণনকারী সঠিক ও দ্রুত সিদ্ধান্তগ্রহণের মাধ্যমে ব্যষ্টিক পরিবেশের উপাদানসমূহের প্রভাব হ্রাস করতে পারে। অন্যদিকে, বিপণনকারী সিদ্ধান্তগ্রহণের মাধ্যমে ব্যষ্টিক পরিবেশের উপাদানসমূহের প্রভাবের সাথে খাপ খাওয়ানোর কৌশল অবলম্বন করতে পারে।

৭. ব্যষ্টিক পরিবেশের উপাদান কোম্পানি, সরবরাহকারী, বিপণন মথ্যস্থকারবারী, প্রতিযোগী, জনগোষ্টি ও ক্রেতা সাধারন। অন্যদিকে, সামস্টিকের উদাহারন জনসংখ্যাগত, অর্থনৈতিক, প্রাকৃতিক রাজনৈতিক, প্রযুক্তিগত ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ।