প্রোন ও শ্রিম্প এর মধ্যে পার্থক্য

তাত্ত্বিকভাবে প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় তুলনামূলক বড় আকারের চিংড়িকে প্রোন (Prawn) এবং ছোট আকারের চিংড়িকে শ্রিম্প (Shrimp) বলা হয়ে থাকে। প্রোনের প্রথম দুই জোড়া বক্ষ উপাঙ্গ চিমটা যুক্ত যার মধ্যে দ্বিতীয় জোড়া চিমটা সবচেয়ে বড়, ফুলকা ল্যামিলার তথা প্লেট সদৃশ এবং উপবর্গ প্লিওকাইমাটা এর অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে শ্রিম্পের প্রথম তিন জোড়া বক্ষ উপাঙ্গ চিমটা যুক্ত যার মধ্যে প্রথম জোড়া চিমটা তুলনামূলক বড়, ফুলকা শাখান্বিত এবং উপবর্গ ডেন্ড্রোব্রাঙ্কিয়াটা (Dendrobranchiata) এর অন্তর্ভুক্ত। প্রোনের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গলদা চিংড়ি এবং শ্রিম্পের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বাগদা চিংড়ি।

প্রোন ও শ্রিম্প এর মধ্যে পার্থক্যঃ

প্রোন ও শ্রিম্প সারা পৃথিবীব্যাপীই দেখতে পাওয়া যায় এবং স্বাদু ও সামুদ্রিক উভয় ধরণের জলাশয়ের তলদেশেই এদেরকে বিচরণ করতে দেখা যায়। উভয়েই ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ। প্রোন ও শ্রিম্প এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

১. প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় তুলনামূলক বড় আকারের চিংড়িকে প্রোন বলা হয়। অন্যদিকে, ছোট আকারের চিংড়িকে শ্রিম্প বলা হয়।

২. প্রোনের প্রথম দুই জোড়া বক্ষ উপাঙ্গ চিমটা যুক্ত যার মধ্যে দ্বিতীয় জোড়া চিমটা সবচেয়ে বড় এবং ফুলকা ল্যামিলার তথা প্লেট সদৃশ। অন্যদিকে, শ্রিম্পের প্রথম তিন জোড়া বক্ষ উপাঙ্গ চিমটা যুক্ত যার মধ্যে প্রথম জোড়া চিমটা তুলনামূলক বড় এবং ফুলকা শাখান্বিত।

৩. প্রোনের Decapoda বর্গের অন্তর্গত Pleocyemata উপবর্গের অন্তর্ভুক্ত প্রজাতি। অন্যদিকে, শ্রিম্পের Decapoda বর্গের অন্তর্গত Dendrobranchiata উপবর্গের অন্তর্ভুক্ত প্রজাতি।

৪. প্রোনের দ্বিতীয় বক্ষ উপাঙ্গের চিমটা সবচেয়ে বড়। অন্যদিকে, শ্রিম্পের প্রথম বক্ষ উপাঙ্গের চিমটা তুলনামূলকভাবে বড়।

৫। প্রোনের উদাহরণ হচ্ছে: গলদা চিংড়ি। অন্যদিকে, শ্রিম্পের উদাহরণ হচ্ছে: বাগদা চিংড়ি