বাইনারি ও অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য

বাইনারি ও অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির মধ্যে কিছু বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য রয়েছে। বাইনারি ও অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলি নিচে উল্লেখ করা হল:

বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি (Binary Number System) :
বাইনারি পদ্ধতিতে 0 এবং 1 এই দুটি মাত্র অঙ্ক ব্যবহার করা হয়। এজন্য এই পদ্ধতিকে দ্বিমিক সংখ্যা পদ্ধতিও বলা হয়। এ সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি বা বেস 2। এই পদ্ধতিতে ব্যবহৃত 0 বা 1 অঙ্ককে বিট বলা হয়। সাধারণত ৪টি বিট সমন্বয়ে একটি বাইট (byte) গঠিত হয়। বাইনারি পদ্ধতি হলো সরলতম গণনা পদ্ধতি। বাইনারি বা 2 ভিত্তিক পদ্ধতি কম্পিউটারের জন্য প্রযোজ্য। ০ এবং 1 কে বিভিন্নভাবে সাজিয়ে সকল সংখ্যাকে বাইনারি সংখ্যায় লেখা যায়।

এই পদ্ধতির বিট দুটিকে সহজে ইলেকট্রনিক উপায়ে নির্দেশ করা সম্ভব। কম্পিউটার বা ইলেকট্রনিক যন্ত্র দুটি অবস্থা সহজেই অনুধাবন করতে পারে। একটি হলো লজিক লেভেল ০, একে OFF, LOW, FALSE কিংবা NO-ও বলা হয়। অন্যটি হলো লজিক লেভেল 1, একে ON, HIGH, TRUE কিংবা YES-ও বলা হয়।

অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি (Octal Number System) :
অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির বেস ৪। এই পদ্ধতির আটটি অঙ্ক হলো 0, 1, 2, 3, 4, 5, 6 ও 7। আধুনিক কম্পিউটার উন্নয়নের প্রাথমিক অবস্থায় এই গণনা পদ্ধতি ব্যবহার করা হতো। সারণিতে অক্টাল পদ্ধতিতে গণনার রীতি দেখানো হয়েছে।

বাইনারি ও অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্যঃ
যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যা গণনা করার জন্য ২টি অঙ্ক বা প্রতীক ব্যবহৃত হয় তাকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বলে। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত প্রতীক বা অঙ্কগুলো হলো 0 এবং 1। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির বেজ ২।

অপরদিকে, যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যা গণনা করার জন্য ৮টি অঙ্ক বা প্রতীক ব্যবহৃত হয় তাকে অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। এই পদ্ধতিতে ব্যবহৃত অঙ্ক বা প্রতীকগুলো হলো 0, 1, 2, 3, 4, 5, 6, ও 7। এই পদ্ধতিতে সর্বমোট ৮টি অঙ্ক ব্যবহার করা হয় বলে এর বেজ ৮।

একটি অক্ট্যাল সংখ্যা তিন বিট বাইনারি দ্বারা প্রকাশ করা যায়। আমরা জানি, বাইনারি সংখ্যার ভিত্তি ২ এবং অক্ট্যাল সংখ্যার ভিত্তি ৮। বাইনারি সংখ্যাকে অক্টালে রূপান্তর করতে সংখ্যাটির অংকগুলোকে তিন বিট বিশিষ্ট ছোট ছোট ভাগে ভাগ করা হয়। এরপর প্রতিটি গ্রুপের সমতুল্য অক্ট্যাল মান বসালে তা বাইনারি থেকে অক্টালে রূপান্তরিত হয়।

অক্ট্যাল থেকে বাইনারি সংখ্যায় রূপান্তরের ক্ষেত্রে প্রতিটি অক্ট্যাল অংককে তিন বিট বিশিষ্ট বাইনারি রূপান্তর করলে বাইনারি সংখ্যা পাওয়া যায়।