ব্রডগেজ ও মিটার গেজ ট্রেনের মধ্যে পার্থক্য

১৮৯৮–১৮৯৯ সালে ময়মনসিংহ হতে জগন্নাথগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্যক্তি মালিকানাধীন মিটারগেজ রেলপথ সেকশনটি চালু হয়। …. সর্বশেষ ১৪ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর ফলে ঢাকা এবং কলকাতার মধ্যে সরাসরি রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। যেটি মিটার গেজ লাইন ব্যাবহার করে সেটিকে মিটার গেজ ট্রেন বলা হয়।

ব্রডগেজ ট্রেন: ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানি কোলকাতা থেকে রানাঘাট পর্যন্ত ব্রডগেজ (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) রেলপথ সেকশনটিকে ১৮৬২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর এবং রানাঘাট থেকে দর্শনা হয়ে কুষ্টিয়া পর্যন্ত রেলপথ সেকশনটিকে ১৮৬২ সালের ১৫ …. সর্বশেষ ১৪ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর ফলে ঢাকা এবং কলকাতার মধ্যে সরাসরি রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। যে ট্রেনটি ব্রডগেজ লাইন ব্যাবহার করে, সেটিকে ব্রডগেজ ট্রেন বলা হয়।

মিটারগেজ ট্রেন : ১৮৯৮–১৮৯৯ সালে ময়মনসিংহ হতে জগন্নাথগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্যক্তি মালিকানাধীন মিটারগেজ রেলপথ সেকশনটি চালু হয়। …. সর্বশেষ ১৪ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর ফলে ঢাকা এবং কলকাতার মধ্যে সরাসরি রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। যেটি মিটার গেজ লাইন ব্যাবহার করে সেটিকে মিটার গেজ ট্রেন বলা হয়।

বিস্তারিতঃ

১. প্রস্থের ওপর ভিত্তি করে সারা বিশ্বে চার ধরণের রেল লাইন আছে- ১. ব্রডগেজ ২.মিটারগেজ ৩.স্ট্যান্ডার্ড গেজ ৪.ন্যরো গেজ। ভারত ও বাংলাদেশে মূলত প্রথম দু’টি রেল লাইন ব্যাবহার করা হয়, তবে পাহাড়ি অঞ্চলে ন্যারো গেজ ব্যাবহার করা হয়। যে ট্রেনটি ব্রডগেজ লাইন ব্যাবহার করে, সেটিকে ব্রডগেজ ট্রেন এবং যেটি মিটার গেজ লাইন ব্যাবহার করে সেটিকে মিটার গেজ ট্রেন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

২. ব্রডগেজ রেল লাইনের প্রস্থ ১৬৭৬ মিলিমিটার বা সাড়ে ৫ ফুট এবং মিটারগেজ রেল লাইনের প্রস্থ ১০৬৭ মিলিমিটার বা সাড়ে ৩ ফুট। ন্যরো গেজ লাইনের প্রস্থ ৭৬২ মিমি বা আড়াই ফুট এবং স্ট্যান্ডার্ড গেজের প্রস্থ ১৪৩৫ মিমি বা ৪ ফুট সাড়ে ৮ ইঞ্চি।

৩. ব্রডগেজ বা মিটারগেজ দু’টোই প্রয়োজনীয়। মিটারগেজ লাইনের সংস্থাপন কাজে অর্থ ব্যায় কম হয় এবং কম জায়গার প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে, যেসব রেল পথে প্রচুর ট্রেন চলাচল করে, রেলপথের দৈর্ঘ্য বেশি, মালামাল পরিবহন করতে হয় বেশি এবং মাটির নিচে কিছুটা দুর্বল থাকে সেসব জায়গায় ব্রডগেজ লাইন প্রয়োজন।
আমাদের দেশে এই দুই ধরণের রেল লাইনই আছে। ঢাকার সাথে উত্তরাঞ্চল যুক্ত হয়েছে ব্রডগেজ রেল লাইনের মাধ্যমে। অন্য আর সকল রেল পথ মিটার

৪. মিটারগেজ ট্রেনের একটি কোচের আসন সংখ্যা সর্বচ্চ ৭৫।বেশিরভাগ কোচের আসন সংখ্যা ৬৮.

অপর দিকে ব্রডগেজের সর্বচ্চ ১০৫ জন( কোন কোচে ১০৭ জনও দেখা যায়)।বেশিরভাগ কোচের আসন সংখ্যা ১০৪ জন।

৫. একটি মিটারগেজের লোকোর সর্বচ্চ শক্তি ১৫০০ হপ(২৬,২৭,২৯ সিরিজের লোকো)। অপরদিকে একটি ব্রডগেজ লোকোর সর্বচ্চ ক্ষমতা ৩০০০ HP (৬৫ সিরিজের লোকো) অর্থাৎ মিটারগেজের থেকে ১৫০০ HP বেশি।