এনকোডার ও ডিকোডার এর মধ্যে পার্থক্য

এনকোডার (Encoder):

যে ডিজিটাল বর্তনীর মাধ্যমে মানুষের বোধগম্য ভাষাকে কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তরিত করা হয় অর্থাৎ আনকোডেড (Uncoded) ডেটাকে কোডেড (Coded) ডেটায় পরিণত করা হয় তাকে এনকোডার (Encoder) বলে। অর্থাৎ এনকোডার হচ্ছে একটি রূপান্তরকরণ লজিক সার্কিট যা মানুষের ভাষাকে কম্পিউটারের বোধগম্য অর্থাৎ যান্ত্রিক ভাষায় রূপান্তর করে। এনকোডারে অনেকগুলো ইনপুট থাকে যার মধ্যে একটি ইনপুট সচল থাকে অর্থাৎ যেকোনো মুহূর্তে একটিমাত্র ইনপুট 1 ও বাকি সব ইনপুট 0 থাকে। এনকোডারের সার্কিটসমূহ সাধারণত বিভিন্ন বৈদ্যুতিক ইনপুট ডিভাইস যেমন- কী-বোর্ড, মাউস, মোবাইলফোন ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।

ডিকোডার (Decoder):

যে ডিজিটাল বর্তনীর সাহায্যে কম্পিউটারে ব্যবহৃত ভাষাকে মানুষের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তরিত করা হয় অর্থাৎ কোডেড (Coded) ডেটাকে আনকোডেড (Uncoded) ডেটায় পরিণত করা হয় তাকে ডিকোডার বলে। অর্থাৎ ডিকোডার এমন একটি লজিক সার্কিট, যা কোন কোড (Code)-কে ডিকোড (Decode) করতে পারে। এটি কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষাকে মানুষের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তর করে। ডিকোডার এনকোডার এর বিপরীত কাজ করে। ডিকোডারে ইনপুট সংখ্যা n হলে তার আউটপুট সংখ্যা 2n হবে।

কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসের আউটপুট ইউনিটে যুক্ত থাকে। কম্পিউটারের কন্ট্রোল ইউনিটে বিভিন্ন নির্দেশ, মেমোরি অ্যাড্রেস, কাউন্টার এর বাইনারি সংখ্যা ডিকোড করার জন্য ডিকোডার ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকারের ডিসপ্লে (Display) ইউনিট যেমন- মনিটরের ভিডিও এবং আউটপুট ডিভাইসসমূহেও ডিকোডার ব্যবহৃত হয়।

এনকোডার ও ডিকোডার এর মধ্যে পার্থক্যঃ

যে ডিজিটাল বর্তনীর মাধ্যমে মানুষের বোধগম্য ভাষাকে কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তরিত করা হয়। এনকোডার ও ডিকোডার এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

১। আনকোডেড (Uncoded) ডেটাকে কোডেড (Coded) ডেটায় পরিণত করা হয় তাকে এনকোডার (Encoder) বলে। অন্যদিকে, কোডেড (Coded) ডেটাকে আনকোডেড (Uncoded) ডেটায় পরিণত করা হয় তাকে ডিকোডার বলে।

২। এনকোডার এক ধরনের ডিজিটাল সার্কিট যা মানুষের দেয়া ইনপুটকে ডিজিটাল সিস্টেমের বোধগম্য বাইনারি কোডে রূপান্তর করে। অন্যদিকে, ডিকোডার এক ধরনের ডিজিটাল সার্কিট যা ডিজিটাল সিস্টেমের বোধগম্য বাইনারি কোডকে মানুষের বোধগম্য ফরম্যাটে রূপান্তর করে।

৩। এনকোডারে 2n সংখ্যক ইনপুট লাইন ও সর্বাধিক n সংখ্যক আউটপুট লাইন থাকে। অন্যদিকে, ডিকোডারে n সংখ্যক ইনপুট লাইন ও সর্বাধিক 2n সংখ্যক আউটপুট লাইন থাকে।

৪। এনকোডারে যেকোনো মুহূর্তে একটি মাত্র ইনপুট ১ এবং বাকি সকল ইনপুট ০ থাকে। অন্যদিকে, ডিকোডারে যেকোনো মুহূর্তে একটি মাত্র আউটপুট লাইনের মান ১ হয় এবং বাকি সকল আউটপুট লাইনের মান ০ হয়।

৫। এনকোডার ইনপুট ডিভাইসের সাথে যুক্ত থাকে। অন্যদিকে, ডিকোডার আউটপুট ডিভাইসের সাথে যুক্ত থাকে।

৬। এনকোডারের সার্কিটসমূহ সাধারণত বিভিন্ন বৈদ্যুতিক ইনপুট ডিভাইস যেমন- কী-বোর্ড, মাউস, মোবাইলফোন ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে, ডিকোডার বিভিন্ন প্রকারের ডিসপ্লে (Display) ইউনিট যেমন- মনিটরের ভিডিও এবং আউটপুট ডিভাইসসমূহেও ডিকোডার ব্যবহৃত হয়।