মেট্রোরেল এবং সাধারন ট্রেনের মধ্যে পার্থক্য

মেট্রোরেল (Metro Rail ):

মেট্রো পূর্ণরূপ মেট্রোপলিটন বা নগর। তাহলে, মেট্রো রেল বলতে বোঝায় শুধুমাত্র টাউন বা সিটির মধ্যেই যে সমস্ত ট্রেন যাতায়াত করে। আধুনিক বিশ্বায়নের অন্যতম একটি যাতায়াত ব্যবস্থা হচ্ছে মেট্রো রেল ব্যবস্থা। আমরা যেকোনো স্থানে যাতায়াতের জন্য অনেক সময় ব্যয় করে থাকি তার জন্য আমরা কম সময়ে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের আধুনিক প্রকল্প চালু করছি। সেই আধুনিক প্রকল্পগুলোর মধ্যে মেট্রোরেল অন্যতম। বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল চালু হয়েছে বলে সকলের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে। মেট্রোরেল তৈরি করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ঢাকা শহরের এই অসহনীয় যানজট থেকে কিছুটা মুক্তি খোঁজ করা।

বাংলাদেশের মানুষের শ্রমঘণ্টা জরিপ করার পর জানা যায় যে প্রায় ১৭ থেকে ৩২ লক্ষ মানুষের শ্রমঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে প্রতিদিন। তাই তাদের শ্রমঘণ্টা নষ্ট করার থেকে তাদেরকে অল্প সময়ে যাতায়াত ব্যবস্থার সুবিধা দেয়ার জন্য এবং নিজেদেরকে সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য মেট্রোরেল প্রকল্প চালু হয়। বর্তমানে মেট্রোরেল প্রকল্প শেষ হওয়ার আর মাত্র কয়েক মাস বাকি রয়েছে। তাহলে সম্পূর্ণ ভাবে ব্যবহার করতে পারবে এবং অসহনীয় যানজটের হাত থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারবে।

সাধারন ট্রেন (Normal Train):

রেল পরিবহণে, একটি ট্রেন হল সংযুক্ত যানবাহনের একটি সিরিজ যা একটি রেলপথ ধরে চলে এবং লোক বা মাল পরিবহন করে। ট্রেন শব্দটি এসেছে ওল্ড ফ্রেঞ্চ ট্রেহিনার থেকে, যা ল্যাটিন ট্রাহেরে থেকে এসেছে যার অর্থ “টেনে আনা, আঁকানো”। ট্রেনগুলি সাধারণত লোকোমোটিভ দ্বারা টানা বা ঠেলে দেওয়া হয় (প্রায়শই কেবল “ইঞ্জিন” নামে পরিচিত), যদিও কিছু স্ব-চালিত, যেমন একাধিক ইউনিট হিসাবে। যাত্রী এবং পণ্যসম্ভার রেলপথের গাড়িতে বহন করা হয়, যা ওয়াগন নামেও পরিচিত। ট্রেনগুলি একটি নির্দিষ্ট গেজ বা রেলের মধ্যে দূরত্বের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। বেশিরভাগ ট্রেন স্টিলের চাকা দিয়ে ইস্পাত ট্র্যাকে চলে, যার কম ঘর্ষণ তাদের পরিবহনের অন্যান্য রূপের তুলনায় আরও দক্ষ করে তোলে।

মেট্রোরেল এবং সাধারন ট্রেনের মধ্যে পার্থক্যঃ

মেট্রোরেল এবং সাধারন ট্রেন দুটিই যাত্রীবাহী পরিবহন হলেও এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। তাই মেট্রোরেল এবং সাধারন ট্রেনের মধ্যে পার্থক্য নিচে দেখানো হয়েছে-

১। মেট্রো রেল সাধারনত নির্দিষ্ট একটি শহরেই সীমাবদ্ধ থাকে। অন্যদিকে, ট্রেন এক শহর থেকে অন্য শহর এমনকি হাজারো মাইল পারি দিয়ে এক দেশ থেকে অন্যদেশেও যেয়ে থাকে।

২। সাধারনত ট্রেন থেকে মেট্রো রেলের গতি অধিক পরিমানে হয়ে থাকে তবে বর্তমানে জাপান, চীন সহ বিশ্বের উন্নত কিছু দেশে ঘন্টায় প্রায় ২৫০ কিলমিটার বেগে চলতে সক্ষম এমন ট্রেনো তৈরি করা হয়েছে।

৩। মেট্রো রেল সাধারনত ৬ থেকে ৮টি বগি নিয়ে গঠিত হয়।অন্যদিকে, ট্রেনের সাথে অধিক পরিমানে বগি সংযুক্ত হয়ে থাকে।

৪। মেট্রো রেল সর্বোচ্চ তিন মিনিট বা তার চেয়ে কম সময়ে স্টেশনে পৌছে থাকে। অন্যদিকে, সাধারন ট্রেন ৩০ মিনিট বা তর থেকে বেশি সময় নিয়ে একটি স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে পৌছায়।

৫। মেট্রোর জন্য মাটির নিচে রাস্তা বের করা অথবা এলিভেটরের ব্যাবস্থা করা হয়। অন্যদিকে, ট্রেনের জন্য সাধারনত মাটির নিচে কিংবা এলিভেটেড ব্যাবস্থা করা হয়না।