পেনিপ্লেন ও পেডিপ্লেনের মধ্যে পার্থক্য

পেনিপ্লেন (Pennyplane):

জিওমরফোলজি এবং ভূতত্ত্বে , একটি পেনিপ্লেইন হল একটি নিম্ন-ত্রাণকারী সমভূমি যা দীর্ঘস্থায়ী ক্ষয় দ্বারা গঠিত হয়। এটি হল সবচেয়ে বিস্তৃত পরিভাষায় সংজ্ঞা, যদিও ফ্রিকোয়েন্সি সহ পেনেপ্লেনের ব্যবহার বর্ধিত টেকটোনিক স্থিতিশীলতার সময়ে ফ্লুভিয়াল ক্ষয়ের কাছাকাছি-অন্তিম (বা শেষ) পর্যায়ের উপস্থাপনা বোঝানোর জন্য বোঝানো হয় । স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রের বার্ধক্য পর্যায়ে নদীর কার্যের ফলে যে বৈচিত্র্য হীন সমভূমির সৃষ্টি হয়, তাকে পেনিপ্লেন বলে।

পেডিপ্লেন (Pediplain):

ভূতত্ত্ব এবং ভূরূপবিদ্যায় একটি পেডিপ্লেইন (ল্যাটিন পেস থেকে, জেনিটিভ কেস পেডিস, যার অর্থ “পা”) একটি বিস্তৃত সমভূমি যা পেডিমেন্টের সমন্বয় দ্বারা গঠিত। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পেডিপ্লেন গঠন করে তাকে পেডিপ্ল্যানেশন বলে। পেডিপ্লেন এবং পেডিপ্ল্যানেশনের ধারণাগুলি প্রথম ভূতত্ত্ববিদ লেস্টার চার্লস কিং তার 1942 বই দক্ষিণ আফ্রিকান সিনারিতে তৈরি করেছিলেন। ধারণাটি কুখ্যাতি অর্জন করেছিল কারণ এটি অনুপ্রবেশের সাথে যুক্ত ছিল। মরু ক্ষয়চক্রের বার্ধক্য পর্যায়ে ক্ষয় ও সঞ্চয়ের যৌথ প্রভাবে সৃষ্ট প্রস্তরময় ভূমিকে ভৌগলিক কিং পেডিপ্লেন বলেছেন। পেডিপ্লেন= পেডিমেন্ট + বাজাদা

পেডিপ্লেনের একত্রিত পেডিমেন্টগুলি খুব মৃদু অবতল ঢালের একটি সিরিজ গঠন করতে পারে। সম্ভবত উপস্থিত আকারের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পার্থক্যটি হল অবশিষ্ট পাহাড়গুলির মধ্যে যা ডেভিসের পেনিপ্লেইনে মৃদু ঢাল থাকতে হবে যখন পেডিপ্লেনে তাদের ক্ষয়ের প্রাথমিক পর্যায়ে ঢালগুলির মতো একই খাড়া থাকা উচিত যা পেডিপ্ল্যানেশনের দিকে পরিচালিত করে।

পেনিপ্লেন ও পেডিপ্লেনের মধ্যে পার্থক্যঃ

জিওমরফোলজি এবং ভূতত্ত্বে , একটি পেনিপ্লেইন হল একটি নিম্ন-ত্রাণকারী সমভূমি যা দীর্ঘস্থায়ী ক্ষয় দ্বারা গঠিত হয়। পেনিপ্লেন ও পেডিপ্লেনের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

১। 1899 খ্রীঃ উইলিয়াম মরিস ডেভিস পেনিপ্লেনের ধারণা দেন। অন্যদিকে, 1948 খ্রীঃ এল.সি. কিং পেডিপ্লেনের ধারণা দেন।

২। স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রের বার্ধক্য পর্যায়ে নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে যে প্রায় সমতল ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, তিকে পেনিপ্লেন বলে। অন্যদিকে, মরু ক্ষয়চক্রের বার্ধক্য পর্যায়ে বায়ু ও জলধারার সম্মিলিত কার্যের ফলে যে প্রায় সমতল ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, তিকে পেডিপ্লেন বলে।

৩। পেনিপ্লেন আর্দ্র ও বৃষ্টি বহুল জলবায়ু অঞ্চলে দেখা যায়। অন্যদিকে, পেডিপ্লেন মরু ও মরুপ্রায় জলবায়ু অঞ্চলে দেখা যায়।

৪। পেনিপ্লেন সৃষ্টির প্রধান নিয়ন্ত্রক হলো নদী বা প্রবহমান জলধারা। অন্যদিকে, পেডিপ্লেন সৃষ্টির প্রধান নিয়ন্ত্রক হলো বায়ুপ্রবাহ ও জলধারার।

৫। সমুদ্র সমতল থেকে পেনিপ্লেনের উচ্চতা পরিমাপ করা হয়। কারণ নদীর নিম্নক্ষয় সীমা সমুদ্র সমতল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। অন্যদিকে, পেডিপ্লেনের উচ্চতা স্থানীয় ভৌমজলস্তর থেকে করা হয়। কারণ বায়ুর ক্ষয়কার্যের শেষ সীমা স্থানীয় ভৌমজলস্তর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

৬। পেনিপ্লেন অপেক্ষাকৃত স্বল্প পরিসর স্থান জুড়ে বিস্তার লাভ করে। অন্যদিকে, পেডিপ্লেন বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করে।

৭। পেনিপ্লেনের ওপর অবশিষ্ট পাহাড় রূপে কঠিন শিলায় গঠিত মোনাডনক অবস্থান করে। অন্যদিকে, পেডিপ্লেনের ওপর অবশিষ্ট পাহাড় রূপে কঠিন শিলায় গঠিত ইনসেলবার্জ অবস্থান করে।