মূলা ও গাজরের মধ্যে পার্থক্য

মূলা:
সারা বিশ্বেই মূলা জন্মায় এবং খাওয়া হয়, বেশিরভাগ সময় এটি কাঁচা কচকচে সালাদ সবজি হিসাবে খাওয়া হয়। মূলা অনেক বৈচিত্রময়, আকারে আলাদা,গন্ধযুক্ত, বিভিন্ন রং এবং পরিপক্ব হওয়ার সময়ের বিভিন্নতা রয়েছে। মূলা গাছ দ্বারা বিভিন্ন মিশ্রিত রাসায়নিক নির্গত হওয়ার কারণে এটি তিব্র গন্ধযুক্ত হয়, যার সাথে যুক্ত থাকে গ্লূকোসাইনোলেট, মাইরোসিনাস এবং ইসোথিওসায়ানেট।

গাজর:
গাজর একপ্রকার মূল জাতীয় সবজি। গাজর গাছ Apiaceae পরিবারভুক্ত। এর আদি নিবাস দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপ। পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক গাজরই চীন দেশে উৎপাদিত হয়। নানা প্রকার খাদ্য তৈরিতে গাজর ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে সালাদে এর ব্যবহার ব্যাপক। একে সাধারণত গৃহের বাগানের সবজি উৎপাদিত করা হয়।

মূলা ও গাজরের মধ্যে পার্থক্য:

সারা বিশ্বেই মূলা জন্মায় এবং খাওয়া হয়, বেশিরভাগ সময় এটি কাঁচা কচকচে সালাদ সবজি হিসাবে খাওয়া হয়। মূলা ও গাজরের মধ্যে পার্থক্য নিচে আলোচনা করা হয়েছে-

১। প্রতি ১০০ গ্রাম মুলায় ভিটামিন এ , বি ৬: ০.০৭১ মিগ্রা, সি: ১৪.৮ মিগ্রা রয়েছে। অন্যদিকে প্রতি ১০০ গ্রাম গাঁজরে ভিটামিন সি: ৫.৯ মিগ্রা, ই: ০.৬৬ মিগ্রা রয়েছে।

২। মুলা দেখতে সাদা রঙের হয়। অন্যদিকে গাঁজর দেখতে কমলা রঙের হয়।

৩। মুলা ও গাঁজর উভয়ই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৪। প্রতি ১০০ গ্রাম মুলায় প্রটিন রয়েছে ০.৬৮ গ্রাম। অন্যদিকে প্রতি ১০০ গ্রাম গাঁজরে প্রটিন রয়েছে ০.৯৩ গ্রাম।

৫। প্রতি ১০০ গ্রাম মুলায় ক্যালসিয়াম রয়েছে ২৫ মিলিগ্রাম। অন্যদিকে প্রতি ১০০ গ্রাম গাঁজরে ক্যালসিয়াম রয়েছে ৩৩ মিলিগ্রাম।