রাজভোগ ও রসগোল্লার মধ্যে পার্থক্য

রাজভোগ (Rajbhoga) :
বাড়িতে মিষ্টি তৈরি করতে পারলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। কারণ দোকানে তৈরি মিষ্টি অনেকক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর হতে পারে। উৎসবে কিংবা অতিথি আপ্যায়নে তৈরি করতে পারেন রাজভোগ মিষ্টি। উপকরণ:
ছানা- ১ কাপ
আমন্ড- ১ টেবিল চামচ
ময়দা- ১ চা চামচ
সুজি- ১ চা চামচ
জাফরান- ১/৪ চা চামচ
চিনি- ১ কাপ
কাজু বাদাম- ১ টেবিল চামচ
পেস্তা বাদাম- ৩/৪ টেবিল চামচ
এলাচ- ১ চা চামচ
পানি- ২ কাপ

প্রণালি:
আমন্ড, এলাচ, পেস্তা বাদাম ও কাজু বাদাম একসঙ্গে পিষে গুঁড়া তৈরি করুন। ছানা ভালো করে মেখে নিন। ময়দা, সুজি ও বাদামের গুঁড়া দিয়ে আবার মাখান। ডো থেকে মিষ্টির আকারের বল তৈরি করুন। চুলায় পানি ও চিনি দিয়ে সিরা তৈরি করুন। জাফরান দিয়ে দিন। সিরা তৈরি হলে ছানার মিষ্টি ছেড়ে দিন। ৪ থেকে ৫ মিনিট জ্বাল দিন। আরও খানিকটা পানি দিয়ে কিছুক্ষণ জ্বাল দিন। মিষ্টি ফুলে উঠলে নামান। ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন মজাদার রাজভোগ মিষ্টি।

রসগোল্লা (Rasagolla) :
রসগোল্লা খেতে সবাই ভালোবাসেন এটা বলাই বাহুল্য। বাঙালি মাত্রই “মিষ্টি” শুনলে সবার আগে চোখের সামনে ভেসে ওঠে রসগোল্লার চেহারা। আজকাল অনেকেই বাড়িতে রসগোল্লা তৈরি করে থাকেন। রসগোল্লার নামকরণে কোনও রাজকীয়তার ছোঁয়া নেই। উপকরণ ও তৈরির পদ্ধতি অনুসরণেই এর নামকরণ। রসগোল্লার উপকরণ-

দুধ ১ লিটার
লেবুর রস বা ভিনেগার ১-২ টেবিল চামচ
চিনি ১ কাপ
সাদা এলাচ ২ টি
গোলাপ জল আধা চা চামচ
পানি ৪ কাপ

প্রণালি:
রসগোল্লার ছানা তৈরি করে বাতাসে ছয়-সাত ঘণ্টা ছড়িয়ে রাখুন। চিনির সঙ্গে পানি দিয়ে চুলায় দিন। ফুটে ওঠার পর সিরার ওপর থেকে ময়লা তুলে ফেলুন। চুলার আঁচ কমিয়ে রাখুন। ছানা হাতের তালু দিয়ে মথে নিন। ময়দা, দুই চা চামচ চিনি ও এলাচ গুঁড়া দিয়ে ছানা মথুন। ছানা ১৫ থেকে ২০ ভাগ করে গোল করে রাখুন। সব ছানার বল একবারে চুলার ওপর সিরায় ছাড়ুন। আঁচ বাড়িয়ে দিন। কিছুক্ষণ পর রসগোল্লা সিরার ওপর ভেসে উঠবে। বড় চামচ বা হাতা দিয়ে রসগোল্লা সিরায় ডুবিয়ে হাঁড়ি ঢেকে দিন। ২০-২৫ মিনিট পর বাটিতে পানি নিয়ে একটি রসগোল্লা ছাড়ুন। পানিতে রসগোল্লা ডুবে গেলে এবং আকার ঠিক থাকলে চুলা থেকে নামিয়ে এক কাপ পানি ছিটিয়ে দিয়ে খোলা রাখুন। ঠান্ডা হলে সিরাসহ রসগোল্লা একটি বড় বাটিতে ঢালুন। এক-দুই চা চামচ গোলাপজল দিন। সাত-আট ঘণ্টা পর রসগোল্লা পরিবেশন করুন।

রাজভোগ ও রসগোল্লার মধ্যে পার্থক্য:
রাজভোগ এবং রসগোল্লা-বাঙালির মিষ্টি সাম্রাজ্যের দুই অধীশ্বর। চেহারা ও স্বাদে মিল থাকলেও দুটি মিষ্টির মধ্যে পার্থক্যরয়েছে। তাদের পার্থক্য নিম্নরূপ-

১। রসগোল্লা ধবধবে সাদা। অন্যদিকে, রাজভোগ হলো ধবধবে হলুদ । আর দুটোর সাদও আলাদা ।

২। রসগোল্লার নামকরণে কোনও রাজকীয়তার ছোঁয়া নেই। উপকরণ ও তৈরির পদ্ধতি অনুসরণেই এর নামকরণ। অন্যদিকে, রাজভোগের নামেই রাজকীয়তার স্পর্শ। অতীতে রাজাকে বা অভিজাতদের থালায় নিবেদন করা হত এই মিষ্টান্ন।

৩। রসগোল্লার তুলনায় রাজভোগ আকৃতিতে বেশ বড়।

৫। রাজভোগ মিষ্টির উপকরণ:
ছানা- ১ কাপ
আমন্ড- ১ টেবিল চামচ
ময়দা- ১ চা চামচ
সুজি- ১ চা চামচ
জাফরান- ১/৪ চা চামচ
চিনি- ১ কাপ
কাজু বাদাম- ১ টেবিল চামচ
পেস্তা বাদাম- ৩/৪ টেবিল চামচ
এলাচ- ১ চা চামচ
পানি- ২ কাপ

অন্যদিকে, রসগোল্লার উপকরণ-
দুধ ১ লিটার
লেবুর রস বা ভিনেগার ১-২ টেবিল চামচ
চিনি ১ কাপ
সাদা এলাচ ২ টি
গোলাপ জল আধা চা চামচ
পানি ৪ কাপ

৫। রাজভোগ প্রণালি: আমন্ড, এলাচ, পেস্তা বাদাম ও কাজু বাদাম একসঙ্গে পিষে গুঁড়া তৈরি করুন। ছানা ভালো করে মেখে নিন। ময়দা, সুজি ও বাদামের গুঁড়া দিয়ে আবার মাখান। ডো থেকে মিষ্টির আকারের বল তৈরি করুন। চুলায় পানি ও চিনি দিয়ে সিরা তৈরি করুন। জাফরান দিয়ে দিন। সিরা তৈরি হলে ছানার মিষ্টি ছেড়ে দিন। ৪ থেকে ৫ মিনিট জ্বাল দিন। আরও খানিকটা পানি দিয়ে কিছুক্ষণ জ্বাল দিন। মিষ্টি ফুলে উঠলে নামান। ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন মজাদার রাজভোগ মিষ্টি।

অন্যদিকে, রসগোল্লা প্রণালি: রসগোল্লার ছানা তৈরি করে বাতাসে ছয়-সাত ঘণ্টা ছড়িয়ে রাখুন। চিনির সঙ্গে পানি দিয়ে চুলায় দিন। ফুটে ওঠার পর সিরার ওপর থেকে ময়লা তুলে ফেলুন। চুলার আঁচ কমিয়ে রাখুন। ছানা হাতের তালু দিয়ে মথে নিন। ময়দা, দুই চা চামচ চিনি ও এলাচ গুঁড়া দিয়ে ছানা মথুন। ছানা ১৫ থেকে ২০ ভাগ করে গোল করে রাখুন। সব ছানার বল একবারে চুলার ওপর সিরায় ছাড়ুন। আঁচ বাড়িয়ে দিন। কিছুক্ষণ পর রসগোল্লা সিরার ওপর ভেসে উঠবে। বড় চামচ বা হাতা দিয়ে রসগোল্লা সিরায় ডুবিয়ে হাঁড়ি ঢেকে দিন। ২০-২৫ মিনিট পর বাটিতে পানি নিয়ে একটি রসগোল্লা ছাড়ুন। পানিতে রসগোল্লা ডুবে গেলে এবং আকার ঠিক থাকলে চুলা থেকে নামিয়ে এক কাপ পানি ছিটিয়ে দিয়ে খোলা রাখুন। ঠান্ডা হলে সিরাসহ রসগোল্লা একটি বড় বাটিতে ঢালুন। এক-দুই চা চামচ গোলাপজল দিন। সাত-আট ঘণ্টা পর রসগোল্লা পরিবেশন করুন।