স্মার্ট এবং ট্র্যাডিশনাল শহরের মধ্যে পার্থক্য

স্মার্ট শহর (Smart City) :
স্মার্ট শহর হলো মডার্ন প্রযুক্তি, সেন্সর, এবং ডিজিটাল সংযোগের সাহায্যে সমৃদ্ধ সুবিধা সরবরাহ করার লক্ষ্যে ডিজাইন করা একটি শহর। এই শহরে সেন্সর, ক্যামেরা, আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস), বিগ ডেটা, এবং মানসম্পন্ন ডেটা ব্যবহার করা হয়। এলাকার পরিবেশ ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট, স্বাস্থ্য সেবা, এবং সার্বজনীন সুবিধা প্রদান করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই শহরে স্মার্ট গ্রিড পরিচালনা, স্বায়ত্তশাসন, ইন্টিলিজেন্ট ট্রান্সপোর্টেশন, ইন্টারনেট সংযোগ ও সাইবার সুরক্ষা, সাধারণ প্রশাসন এবং সার্বিক ডেটা ব্যবস্থাপনার উন্নতি এবং বিনিময় বৃদ্ধি সরবরাহ করা হয়।

ট্র্যাডিশনাল শহর (Traditional City) :
ট্র্যাডিশনাল শহর হলো প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক উপায়ে গঠিত একটি শহর। এই শহরে ঐতিহাসিক ভবন, মন্দির, মিউজিয়াম, গ্রহণ কেন্দ্র, এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রধান প্রভাব রয়েছে। ট্র্যাডিশনাল শহরে সংস্কৃতি, কালের ঐতিহ্য, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও স্থানীয় বৈশিষ্ট্য প্রধান বিশেষত্ব হিসেবে দেওয়া যায়। এই শহরে পর্যটক আকর্ষণ, ঐতিহাসিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক প্রয়াসের আনন্দ নেয়।

স্মার্ট এবং ট্র্যাডিশনাল শহরের মধ্যে পার্থক্যঃ

স্মার্ট শহর এবং ট্র্যাডিশনাল শহরে মানুষের বসবাসের অন্যতম স্থান। তবে এদের কিছু বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য রয়েছে। তা নিচে দেখানো হয়েছে-

১. স্মার্ট শহর হলো মডার্ন প্রযুক্তি, সেন্সর, এবং ডিজিটাল সংযোগের সাহায্যে সুবিধা এবং প্রগতি সরবরাহ করা হয়। অন্যদিকে, ট্র্যাডিশনাল শহর হলো প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক উপায়ে গঠিত একটি শহর।

২. স্মার্ট শহরে প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল সংযোগের ব্যবহার প্রধান করা হয়, যার ফলে সার্বজনীন সুবিধা, বৃদ্ধি ও ব্যবস্থাপনা উন্নত হয়। অন্যদিকে, ট্র্যাডিশনাল শহরে ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক প্রভাব এবং প্রচুর পর্যটন উপায়ে প্রাধান্য দেওয়া হয়।

৩. অর্থ, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা- সবকিছু কেন্দ্র থেকে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। অন্যদিকে, ট্র্যাডিশনাল শহরে সংস্কৃতি, কালের ঐতিহ্য, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও স্থানীয় বৈশিষ্ট্য প্রধান বিশেষত্ব হিসেবে দেওয়া যায়।

৪. স্মার্ট শহরের মূল লক্ষ্য হ’ল স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান বাড়ানো। অন্যদিকে, ট্র্যাডিশনাল শহরের মূল লক্ষ্য পর্যটক আকর্ষণ, ঐতিহাসিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক প্রয়াসের আনন্দ নেওয়া।

৫. স্মার্ট শহরে স্মার্ট গ্রিড পরিচালনা, স্বায়ত্তশাসন, ইন্টিলিজেন্ট ট্রান্সপোর্টেশন, ইন্টারনেট সংযোগ ও সাইবার সুরক্ষা, সার্বিক ডেটা ব্যবস্থাপনার উন্নতি এবং বিনিময় বৃদ্ধি সরবরাহ করা হয়। অন্যদিকে, ট্র্যাডিশনাল শহরে সংস্কৃতি, কালের ঐতিহ্য, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও স্থানীয় বৈশিষ্ট্য প্রধান বিশেষত্ব হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হয়।