তারযুক্ত এবং তারবিহীন নেটওয়ার্কের মধ্যে পার্থক্য

তারযুক্ত নেটওয়ার্ক (wired network ) :
তারযুক্ত নেটওয়ার্কে ইথারনেট কেব্ল্ ও নেটওয়ার্ক অ্যাডাপটার ব্যবহার করা হয়। যদিও দুটি কম্পিউটারকে ইথারনেট ক্রসওভার কেবেলর মাধ্যমে যোগ করা যায়, তবু সাধারণত একাধিক কম্পিউটারকে যুক্ত করার জন্য তারযুক্ত নেটওয়ার্কে রাউটার, হাব কিংবা সুইচের মতো কেন্দ্রীয় ডিভাইস দরকার হয়। তারযুক্ত নেটওয়ার্কে ডায়াল-আপ কানেকশন ব্যবহারের জন্য যে কম্পিউটারে সেই কানেকশন আছে, সেখানে অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশন শেয়ারিং ইনস্টল ও এনাবল করা থাকতে হবে।

ইন্টারনেট কানেকশন শেয়ারিং না থাকলে এ রকম কিছু সফটওয়্যার, যেমন—প্রক্সি সার্ভার চালাতে হবে। এর ফলে ওই LAN-এর অন্যান্য কম্পিউটারও সেই ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করতে পারবে। ব্রডব্যান্ড রাউটার ব্যবহার করা হলে সেখানে ইন্টারনেট কানেকশন শেয়ার করার সহজ পদ্ধতি থাকে। এর মাধ্যমে কেব্ল্ মডেম কিংবা DSL ইন্টারনেট কানেকশন শেয়ার করা সম্ভব হয়।কোনো কোনো ব্রডব্যান্ড রাউটারে বিল্ট-ইন ফায়ারওয়াল থাকে।

তারবিহীন নেটওয়ার্ক (wireless network) :
তারবিহীন নেটওয়ার্ক কোনো তার (cable) বা পাইপ ব্যবহার করে না, বরং বেগুনিত বা বেগুনিত মাধ্যম ব্যবহার করে ডেটা সংযোগ প্রদান করে। এটি সংযোগের জন্য তারের বদলে বাণিজ্যিক বা বেগুনিত মাধ্যম ব্যবহার করে এবং স্থানীয় বা দূরবর্তী সংযোগে ব্যবহৃত হতে পারে। তারবিহীন নেটওয়ার্ক বিভিন্ন প্রকারে ব্যবহার করা হতে পারে। যেমন-

ওয়াইফাই (Wi-Fi): এটি একটি তারবিহীন নেটওয়ার্কের উপায় হতে পারে, যেখানে ডেটা সংযোগ বেগুনিত মাধ্যমে বা বেগুনিত বিভিন্ন উপকরণে সরবরাহ করা হয়।

সেলুলার নেটওয়ার্ক: মোবাইল ফোনের সাথে সংযোগের জন্য সেলুলার নেটওয়ার্ক তারবিহীন নেটওয়ার্কের একটি উদাহরণ।

স্যাটেলাইট ইন্টারনেট: স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক দ্বারা তারবিহীন ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করা হতে পারে, যেখানে ডেটা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রেরণ এবং গ্রহণ করা হয়।

তারবিহীন নেটওয়ার্ক বিশেষভাবে ব্যবহৃত হতে পারে যেখানে তার স্থাপন বা তারের ব্যবহার করা কঠিন বা অসম্ভব বা সময় সাপেক্ষ। এটি নেটওয়ার্ক প্রয়োজনীয়তা এবং উদ্দেশ্যের সাথে মিলিত হতে পারে, এবং এটি ব্যবহারকারীদের জন্য দ্রুত এবং সহজ সংযোগের সুবিধা সরবরাহ করতে পারে।

তারযুক্ত এবং তারবিহীন নেটওয়ার্কের মধ্যে পার্থক্যঃ
তারযুক্ত নেটওয়ার্ক এবং তারবিহীন নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রধান পার্থক্য স্থিতিশীলতা, ইনস্টলেশন এবং পরিচালনা, স্ক্যালেবিলিটি, সাক্ষরকতা, দূরবর্তী এবং স্থানীয় কাজ, এবং দ্রুততা সংক্ষেপে অবদান রাখে। পার্থক্য নিম্নরূপ-

১. তারযুক্ত নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে ডেটা সংযোগ তার দ্বারা চলে, এটি অধিক স্থিতিশীল এবং দ্রুত সংযোগ সরবরাহ করতে সক্ষম। অন্যদিকে, তারবিহীন নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে ডেটা বিহীন তবে বাংধ্য নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ডেটা সংযোগ সরবরাহ করে।

২. তারযুক্ত নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিটি স্থাপন এবং পরিচালনা করা সময় সাধারণভাবে কঠিন এবং সময় সাপেক্ষ। যেহেতু তার সাথে সম্পৃক্ত, সংযোগ সমস্যা সামগ্রিকভাবে সম্পূর্ণ নিষ্প্রাণ। অন্যদিকে, তারবিহীন নেটওয়ার্কের ইনস্টলেশন এবং পরিচালনা সহজ এবং দ্রুত, এটি মূলত বাধ্য নেটওয়ার্কে যোগাযোগের জন্য স্থানীয় উপায়ে ব্যবহার করা যায়।

৩. তারযুক্ত নেটওয়ার্ক স্থায়ী সাধারণভাবে স্থিত, এবং স্কেল করা কঠিন। বড় স্থানীয় নেটওয়ার্ক সাথে সমস্যা সাধারণ। অন্যদিকে, তারবিহীন নেটওয়ার্ক স্থিতিশীল এবং স্কেল করতে সহজ, তার সাথে বেশি প্রায়োজনীয় নেটওয়ার্ক উপায়ে ব্যবহার করা যায়।

৪. তারযুক্ত নেটওয়ার্কে সাক্ষরকতা এবং নোয়াজ সমস্যা দিতে পারে, যেহেতু তারের সাথে প্রতিস্থাপন এবং নষ্ট সম্প্রয়োগ দরকার পড়ে। অন্যদিকে, তারবিহীন নেটওয়ার্কের সাক্ষরকতা সমস্যা নেই, কারণ এটি তার সাথে সম্পৃক্ত নয়।

৫. তারযুক্ত নেটওয়ার্ক দূরবর্তী স্থানে ডেটা সংযোগে সমস্যা সংকুচিত হতে পারে। অন্যদিকে, তারবিহীন নেটওয়ার্কের দূরবর্তী এবং স্থানীয় সমস্যা নেই, এটি প্রায়োজনীয় কাজটি সহজভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম।

৬. তারযুক্ত নেটওয়ার্ক সম্প্রয়োগের দ্বারা সম্প্রতি দ্রুততা প্রাপ্ত করা সময় নেয়। অন্যদিকে, তারবিহীন নেটওয়ার্কের দ্রুততা আপনার সাথে সাথে স্থাপন হয়, এবং তার ব্যবহারের সময় স্থায়ী ডেটা সংযোগ প্রদান করে।