বিজনেস এবং সাধারণ ল্যাপটপ এর মধ্যে পার্থক্য

করোনাভাইরাস মহামারি বৈশ্বিক নতুন বাস্তবতায় ওয়ার্ক ফ্রম হোম এবং অনলাইন ক্লাসের জন্য, বাজারে দ্রুত ল্যাপটপের বিক্রি বেড়ে যায়। তবে বিজনেস এবং সাধারণ ল্যাপটপ এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বিজনেস এবং সাধারণ ল্যাপটপ এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ –

বিজনেস ল্যাপটপ (Business Laptop) :
সাধারণত কোম্পানির ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বিজনেস ল্যাপটপ ডিজাইন করা হয়। প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতারা সাধারণ ল্যাপটপের চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী এবং অত্যাধুনিক ফিচার যুক্ত করে এ ধরনের ল্যাপটপগুলো তৈরি করে থাকেন। ফলে ব্যাটারি লাইফ এবং সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কর্ম সম্পাদনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ল্যাপটপগুলো আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া গ্রাহক সন্তুষ্টি এবং ভিডিও কনফারেন্সের চাহিদাকে মাথায় রেখে ল্যাপটপগুলোর ব্যাটারি লাইফ, গতি এবং সামর্থ্য বিবেচনায়, নির্মাতা সংস্থাগুলো ল্যাপটপে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়েছেন।

সাধারণ ল্যাপটপ (General Laptop) :
সাধারণ ল্যাপটপ বিজনেস ল্যাপটপগুলোর চেয়ে দেখতে সুন্দর। এ ধরনের ল্যাপটপে উজ্জ্বল, চকচকে ডিসপ্লে এবং কিবোর্ড থাকে। ঐতিহাসিকভাবে এ ধরনের ল্যাপটপগুলোয় প্রশস্ত টাচপ্যাড এবং ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা এগুলোকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করেছে। আজকাল বিজনেস ল্যাপটপগুলোয় সাধারণ ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেটগুলোর বৈশিষ্ট্য যুক্ত করেছে। ডেল এবং লেনোভোর ল্যাপটপ কম্পিউটারগুলো তাদের মধ্যে অন্যতম। সাধারণ ল্যাপটপগুলোয় আগে থেকে ইনস্টল করা সফটওয়্যার দিয়ে লোড করা থাকে। সাধারণ ল্যাপটপ বিশেষত যেগুলো গেমিংয়ের জন্য তৈরি, সেগুলো বেশ ব্যয়বহুল হতে পারে।

বিজনেস এবং সাধারণ ল্যাপটপ এর মধ্যে পার্থক্যঃ
১. বিজনেস ল্যাপটপ দীর্ঘমেয়াদি, অর্থাৎ সারা দিন ব্যবহারের জন্য নির্মিত হয়। এই ল্যাপটপের ডিজাইনেও বেশি পরিবর্তন দেখা যায় না। দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ল্যাপটপগুলোকে সহজ করে তোলে এবং বদলযোগ্য ব্যাটারি ডিভাইসগুলোর সামগ্রিক আয়ু বাড়ায়। অর্থাৎ বিজনেস ল্যাপটপগুলোর টেকসই হয়; পানি-ধুলো প্রতিরোধী হয়। অন্যদিকে, সাধারণ ল্যাপটপগুলো সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা ব্যবহারের উদ্দেশ্যে তৈরি হয় না।

২.সাধারণ ল্যাপটপ বিজনেস ল্যাপটপগুলোর চেয়ে দেখতে সুন্দর। এ ধরনের ল্যাপটপে উজ্জ্বল, চকচকে ডিসপ্লে এবং কিবোর্ড থাকে। ঐতিহাসিকভাবে এ ধরনের ল্যাপটপগুলোয় প্রশস্ত টাচপ্যাড এবং ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা এগুলোকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করেছে। আজকাল বিজনেস ল্যাপটপগুলোয় সাধারণ ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেটগুলোর বৈশিষ্ট্য যুক্ত করেছে।

৩. নির্মাতারা ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে বিজনেস ল্যাপটপের লাইন ডিজাইন করে থাকেন। ফলস্বরূপ অনেক বিজনেস ল্যাপটপে নানা রকমের কনফিগারেশন দেখা যায়। যদিও সাধারণ ল্যাপটপগুলো কাস্টম স্পেকের সুযোগ প্রদান করতে পারে। বাড়তি স্টোরেজ বা হাই কনফিগারেশনের বিজনেস ল্যাপটপগুলো কাস্টমস বা বিকল্প অপশন দেয় না।

৪. বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার বিজনেস ল্যাপটপের জন্য অসাধারণ- এমনকি এন্ট্রি-লেভেল মডেলগুলোও; যদিও তা এখনো সাধারণ ল্যাপটপের জন্য তুলনামূলক বিরল।

৫. বিজনেস ল্যাপটপগুলো প্রি-ইনস্টল সফ্টওয়্যারের সুবিধা রয়েছে। তবে এ ধরনের ল্যাপটপ নির্মাতারা ডিভাইসকে বেশি ভারী করতে চান না। বেশির ভাগ ল্যাপটপ নির্মাতা সংস্থারা তাদের আইটি কর্মীদের অত্যধিক সফটওয়্যার ব্যবহারে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে, সাধারণ ল্যাপটপগুলোয় আগে থেকে ইনস্টল করা সফটওয়্যার দিয়ে লোড করা থাকে।

৬. বিজনেস ল্যাপটপের নানা গুণাবলি রয়েছে, যা সাধারণ ল্যাপটাগুলো দিতে পারে না। যেমন- উন্নত কর্মক্ষমতা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি, অত্যাধুনিক ডিসপ্লে, উচ্চ-মানের কি-বোর্ড এবং ভালো ওয়ারেন্টি কভারেজ।

৭. বিজনেস ল্যাপটপের ব্যাটারি লাইফ, গতি এবং সামর্থ্য বিবেচনায় মূল্য বেশি হয়ে থাকে। তবে তা নির্ভর করে ল্যাপটপের বৈশিষ্ট্য ও মডেলের ওপর। অতিরিক্ত স্টোরেজ বা ব্যান্ডউইথ-সহ নোটবুক কম্পিউটার হলে দাম বাড়বে। অন্যদিকে, সাধারণ ল্যাপটপ বিশেষত যেগুলো গেমিংয়ের জন্য তৈরি, সেগুলো বেশ ব্যয়বহুল হতে পারে।