গ্যাস্টিক ও হার্টের ব্যথার মধ্যে পার্থক্য

হৃদরোগের অন্যতম লক্ষণ হলো বুকের প্রচণ্ড ব্যথা। এ ধরনের ব্যথা খুবই তীব্রতর হয়। অনেকেই বুকের এমন ব্যথাকে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা ভেবে ভুল করেন, যা হতে পারে বিপজ্জনক। হার্টের ব্যথাকে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা মনে করায় অনেকের হৃদরোগ দেরিতে শনাক্ত করা হয়। ফলে হার্টের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। নিচে গ্যাস্টিক ও হার্টের ব্যথার মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করা হয়েছে-

গ্যাস্টিক ও হার্টের ব্যথার মধ্যে পার্থক্যঃ
বেশির ভাগ মানুষ হার্টের ব্যথাকে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা মনে করেন এবং রাতে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়ে ঘুমান। এতে অনেক সময় ভয়াবহ ব্যাপার এমনকি হার্ট ব্লক হয়ে মৃত্যু হতে পারে। তাই গ্যাস্ট্রিকের ও হার্টের ব্যথার পার্থক্যটা জানা থাকা দরকার।

গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা সাধারণত পেটের ওপরের অংশে হয়। এই ব্যথা শরীরের অন্য অংশে সাধারণত ছাড়ায় না। অন্যদিকে, হার্টের ব্যথা বুকের বাম পাশে কিংবা বুকের মাঝখান থেকে শুরু হয়ে ঘাড়, বাম বাহু বা বাম হাতে ছড়িয়ে পড়ে। এই ব্যথা এতটাই তীব্র হয় যে, অনেকের ক্ষেত্রে ভারী কোনো পাথর যেন বুকের ওপর চেপে আছে এমনটা অনুভূত হবে। এই ব্যথায় রোগী দাঁড়ানো কিংবা শুয়ে থাকলে হঠাৎ নিজে নিজেই বুকের বাম পাশটা চেপে ধরে বসে পড়েন, বসে পড়ার মতো অবস্থা হয়।

হার্টের ব্যথায় রোগীর শরীরে ঠাণ্ডা ঘাম হতে পারে। এক্ষেত্রে তাকে নরমাল ফ্যানের বাতাসে বসিয়ে রাখতে হবে। রোগীকে শুইয়ে রাখা যাবে না। এতে ব্লাড ফো আরো কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে। তাই তাকে খাটে বসিয়ে পিঠের পেছনে বালিশে হেলান দিয়ে রাখতে হবে। সম্ভব হলে ৪টি এস্পিরিন (৭৫ মিলিগ্রাম) পানিতে গুলিয়ে খাইয়ে দেয়া যেতে পারে। এরপর যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তার বা কিনিকে নিয়ে যেতে হবে।

সূত্র: ইন্টারনেট