কান্ড ও মূলের অন্তর্গঠনের মধ্যে পার্থক্য

কাণ্ড (Plant stem):

আলোর দিকে এবং অভিকর্ষের বিপরীত দিকে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত জ্বণমূলের ওপরের দিকের দণ্ডের মত অংশকে কাণ্ড বলে। কাণ্ড উদ্ভিদের প্রধান দুইটি গঠনমূলক অংশের একটি। কাণ্ড বিভিন্ন পর্ব ও পর্বমধ্য দ্বারা বিভক্ত। কাণ্ডের পর্ব মুকুল কে ধারণ করে থাকে। এই মুকুল থেকেই এক বা একাধিক পাতা, ফুল বা আরেকটি কাণ্ড বিকশিত হয়। দুটি পর্বের মধ্যবর্তী অংশকে পর্বমধ্য বলে। পর্বমধ্য কাণ্ডকে সোজা রাখতে ও লম্বা হতে সহায়তা করে। কাণ্ডের বেশির ভাগ অংশই মাটির উপরে দেখা যায় কিন্তু কিছু কিছু গাছের কাণ্ড মাটির নিচে থাকে। কাণ্ড থেকে মুকুল ও চারা জন্মে এবং ভূ-পৃষ্ঠের বাহিরে বর্ধিত হয়। কাণ্ডের ভিতরে টিস্যু বা কলার পরিবহন প্রকৃয়ার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান উপরে ও নিচে স্থানান্তর করতে পারে।

মূল (Root):

আলোর বিপরীত দিকে এবং অভিকর্ষের অনুকূলে প্রাপ্ত হৃণমূলের মাটির নীচে প্রসারিত অংশকে মূল বলে। মূল বা শেকড় হচ্ছে একটি বৃক্ষ বা গাছের ভিত্তি। শেকড়ের নানা ধরন, মাটির নিচের শিকড় ছাড়াও মাটির ওপরেও শেকড় দেখা যায়। এ শেকড়গুলো বের হয় উদ্ভিদের পাতা থেকে। গাছের শেকড় মাটির তলায় অনেকখানি নেমে গিয়ে মাটির ওপর গাছকে সোজা করে রাখে। শেকড় কেবল মাত্র গাছটিকে মাটির উপর শক্ত করে শুধু দাড় করিয়েই রাখে না, সঠিক খাদ্য দ্রব্য খনিজ সরবরাহ করে তার পুর্ণ বিকাশের সুযোগ করে দেয়। তাই এই শেকড় গাছের একটি অন্যতম অংশ। এর মধ্যে থাকে প্রধান একটি মূল বা শিকড়। এই মূল থেকে ছোট ছোট অনেক শেকড় বের হয়।

আলোর বিপরীত দিকে এবং অভিকর্ষের অনুকূলে প্রাপ্ত হৃণমূলের মাটির নীচে প্রসারিত অংশকে মূল বলে।

কান্ড ও মূলের অন্তর্গঠনের মধ্যে পার্থক্যঃ

আলোর বিপরীত দিকে এবং অভিকর্ষের অনুকূলে প্রাপ্ত হৃণমূলের মাটির নীচে প্রসারিত অংশকে মূল বলে। কান্ড ও মূলের অন্তর্গঠনের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-