জিমনোস্পার্ম এবং এনজিওস্পার্ম উদ্ভিদের মধ্যে পার্থক্য

জিমনোস্পার্ম উদ্ভিদ (Gymnosperm Plants)
যে সকল উদ্ভিদের ফুল ও বীজ হয় কিন্তু ফুলে গর্ভাশয় নেই বলে ফল উৎপন্ন হয় না বিধায় বীজ নগ্ন অবস্থায় থাকে, তাদের নগ্নবীজী বা ব্যক্তবীজী উদ্ভিদ (Gymnosperm) বলে। যেমন— ডাব, নারিকেল ইত্যাদি । নগ্নবীজী উদ্ভিদ সজীব উদ্ভিদগুলোর মধ্যে প্রাচীন। গ্রিক শব্দ Gymnos = নগ্ন ও spermos = বীজ থেকে Gymnospermae শব্দটি উদ্ভূত হয়েছে।

এনজিওস্পার্ম উদ্ভিদ (Angiosperm Plants) :
যে সকল উদ্ভিদের বীজ ফলের অভ্যন্তরে আবৃত অবস্থায় থাকে সে সকল উদ্ভিদকে Angiosperm বা আবৃতবীজী উদ্ভিদ বলে। আবৃতবীজী উদ্ভিদ আবার গুপ্তবীজী উদ্ভিদ নামেও পরিচিত। আম, জাম, কাঁঠাল ইত্যাদি।

জিমনোস্পার্ম এবং এনজিওস্পার্ম উদ্ভিদের মধ্যে পার্থক্যঃ
যে সকল উদ্ভিদের ফুল ও বীজ হয় কিন্তু ফুলে গর্ভাশয় নেই বলে ফল উৎপন্ন হয় না বিধায় বীজ নগ্ন অবস্থায় থাকে। জিমনোস্পার্ম এবং এনজিওস্পার্ম উদ্ভিদের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

১। জিমনোস্পার্ম উদ্ভিদের গর্ভাশয় থাকে না । অন্যদিকে, এনজিওস্পার্ম উদ্ভিদের গর্ভাশয় থাকে।

২। জিমনোস্পার্ম উদ্ভিদের গর্ভাশয় না থাকাই এদের ফল উৎপন্ন হয় না। অন্যদিকে, এনজিওস্পার্ম উদ্ভিদের গর্ভাশয় ফলে পরিণত হয় ।

৩। জিমনোস্পার্ম উদ্ভিদের ফল হয় না তাই বীজ নগ্ন অবস্থাই থাকে। অন্যদিকে, এনজিওস্পার্ম উদ্ভিদের ফল হয় তাই বীজ ফলের ভেতরে থাকে ।

৪। জিমনোস্পার্ম উদ্ভিদের আর্কিগোনিয়া সৃষ্টি হয় । অন্যদিকে, এনজিওস্পার্ম উদ্ভিদের আর্কিগোনিয়া সৃষ্টি হয় না।

৫। জিমনোস্পার্ম উদ্ভিদের পরাগরেনু সরাসরি ডিম্বক রন্দ্রে পতিত হয় । অন্যদিকে, এনজিওস্পার্ম উদ্ভিদের পরাগরেনু গর্ভমুন্ডে পতিত হয়।

৬। জিমনোস্পার্ম উদ্ভিদের সাধারণত দ্বি-নিষেক হয় না। অন্যদিকে, এনজিওস্পার্ম উদ্ভিদের দ্বি-নিষেক হয়।

৭। জিমনোস্পার্ম উদ্ভিদের এন্ডোস্পার্ম হ্যাপ্লয়েড। অন্যদিকে এনজিওস্পার্ম উদ্ভিদের এন্ডোস্পার্ম ট্রিপ্লয়েড।

৮। জিমনোস্পার্ম উদ্ভিদের জাইলেমে সুগঠিত ভেসেল কোষ এবং ফ্লোয়েমে সঙ্গী কোষ নেই । অন্যদিকে, এনজিওস্পার্ম উদ্ভিদের জাইলেমে সুগঠিত ভেসেল কোষ এবং ফ্লোয়েমে সঙ্গী কোষ থাকে ।